শার্শায় এ্যাসিড মারার অভিযোগে থানায় মামলা

    0
    403

    ডাক্তারী রিপোর্টে এ্যাসিডের প্রমান মেলেনি

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২২অক্টোবর,এম ওসমান, বেনাপোল: প্রশাধনিতে মুখ পুড়িয়ে শার্শায় এ্যাসিড মারার অভিযোগ করে থানায় মিথ্যা মামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অতপর গরিব অসহায় আওামীলীগ কর্মীর জেল-হাজত বাস। শেষ-মেষ ডাক্তারী রিপোর্টে এ্যাসিডের প্রমান মেলেনি। ঘটনাটি ঘটেছিল গত তিন মাস পূর্বে শার্শার বাইকোলা গ্রামে।

    সুত্রে জানা যায়, গত ২২জুলাই শার্শার বাইকোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এক এ্যাসিড সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেছে উল্লেখ করে শার্শা থানায় একটি মামলা দায়ের করে ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী সুমাইয়া আক্তারের মা আমিরোন নেছা। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের উপরি মহলের কর্তা ব্যক্তিরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তদন্তও করেন। তদন্তের পর পুলিশের কর্তা ব্যক্তিদের অনেকের মুখে শোনা যায়, এ্যাসিডের কোন প্রমান নেই, তারা ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করবেন। আর ডাক্তারী পরীক্ষায় শেষমেষ প্রমানিত হয়, আসলে কোন এ্যাসিডের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। বরং প্রশাধনিতে বিষক্রিয়ার ফলে এঘটনা ঘটতে পারে বলে জানা যায়।

    এ ব্যাপারে তৎকালীন সময়ে শার্শা উপজেলা সভা কক্ষে আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় এক প্রশ্নের জবাবে শার্শা থানা পুলিশের ইনচার্য ইনামুল হক বলেন, প্রথামিক তদন্তে এ্যাসিডের কোন আলামত আমরা বুঝতে পারেনি। এটা ষঢ়যন্ত্র মুলক ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে হচ্ছে। তবে ডাক্তারী পরীক্ষার পর সব কিছু জানা যাবে। পুলিশের কথায় শেষে প্রমানিত হল আসলে এটা ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যা ও সাজানো নাটক।

    বাংলাদেশ গোয়েন্দা (সিআইডি) পুলিশের উপ-প্রধান (রাসায়নিক পরীক্ষক) মোঃ কায়ছার রহমান, বাংলাদেশ সরকারের সিআইডি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষক ড. দিলিপ কুমার সাহা ও সহকারী রাসায়নিক পরীক্ষক পিংকু পোদ্দারের সাক্ষরিত বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেট আমলী আদালত শার্শা, যশোরে প্রেরিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে, একটি আলামত ছিল লাল ও সবুজ রংয়ের প্রিন্টের সুতি কাপড়ের ওড়না, অপর একটি আলামত লাল ও সবুজ রংয়ের প্রিন্টের সুতি কাপড়ের কামিজ ও অন্য একটি আলামত ছিল ফিরোজা ও সাদা রংয়ের প্রিন্টের সুতি কাপড়ের স্যালোয়ার। যার কোনটাতে এ্যাসিড পাওয়া যায় নাই।

    এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, গত ২২জুলাই সুমাইয়া স্কুলে আসলেও ঐদিন মাথায় ঘোমটা টেনে মুখ ঢেকে ছিল ক্লাশ রুমে। এ ভাবে কোন দিনই সে স্কুলে আসেনি।

    সুমাইয়ার সহপাঠি এক ছাত্রী জানান, ঐদিন সুমাইয়া মুখ ঢেকেই স্কুলে আসেন। তার মুখে কালো দাগ ছিল। আমি তার কাছে জিজ্ঞাসা করলে সে কোন উত্তর দেয়নি।