শার্শার বাগআঁচড়ার সাতমাইল পশুহাট সাবেক

    0
    236

    ইজারাদারের বিরুদ্ধে ফুসে উঠেছে শেয়ার হোল্ডাররা

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,৩১মেঃ শার্শার বাগআঁচড়ার সাতমাইল পশুহাটের সাবেক ইজারাদারের বিরুদ্ধে ৪৫শ’ শেয়ার হোল্ডাররা ফুসে উঠতে শুরু করেছে। ইজারার মেয়াদ ফুরালেও শেয়ারের টাকা ফেরত না পেয়ে অবশেষে থানায় অভিযোগ করেছে তারা।

    গত ১৪২০ (বাংলা) সালের মাত্র ৪ মাসের জন্য শার্শার বাগআঁচড়ার সাতমাইল পশুহাটের ইজারাদার হিসাবে দায়িত্ব পায় আব্দুল লতিফ ধাবক। হাটটির ইজারা পাওয়ার পর ৫হাজার ৪৫শ’ শেয়ার বিক্রি করে তিনি। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিমাসের শেষ দিনে শেয়ার হোল্ডারদের লভ্যাংশ বন্টন করার কথা থাকলেও ইজারাদার আব্দুল লতিফ ধাবক তা করেনি। কারো শেয়ারের লভ্যাংশ না দিয়ে সম্পূর্ণ অর্থ ইজারাদার আত্মসাত করেছে বলে থানায় লিখিত অভিযোগে জানা যায়।

    উক্ত পশুহাটের শেয়ার হোল্ডার সাতমাইল এলাকার মুছা হোসেন জানান, তার মাধ্যমে এলাকার ২শ’ সাধারন মানুষ সাতমাইল পশুহাটের ৫হাজার টাকা মুল্যের শেয়ার ক্রয় করে ইজারাদার আব্দুল লতিফ ধাবকের কাছ থেকে। প্রতিমাসের শেষ দিনে শেয়ার হোল্ডারদের লভ্যাংশ বন্টন করার কথা থাকলেও তিনি তা না দিয়ে টালবাহানা করতে থাকে।

    তিনি আরো বলেন, শেয়ার ক্রয়ের আগে বেনাপোলের পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেছিলেন, আপনারা নিঃচিন্তায় শেয়ার ক্রয় করতে পারেন। মনে রাখবেন, ইজারাদার টাকা ফেরত না দিলে আমিই দেব। টাকা ফেরত না পেয়ে মেয়রের কাছে গিয়ে টাকা চাইলেও কোন কাজ হচ্ছে না। ২শ’ শেয়ার হোল্ডারের টাকা ফেরত না দিতে পারায় আমি বাড়িতে টিকতে পারছিনা।

    বাগআঁচড়ার সাতমাইল পশুহাটের সভাপতির দায়িত্বে থাকা সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বাবলু জানান, ৪৫শ’ শেয়ার হোল্ডার অনুরোধে সভাপতি দায়িত্ব নাম মাত্র গ্রহন করলেও দায়িত্ব বুঝে দেয়নি ইজারাদার আব্দুল লতিফ ধাবক। নিজেই তা পালন করতে থাকে।

    তিনি আরো বলেন, আমার নেতৃত্বে পশুহাটের ইজারাদারের কাছে ৮শ’ ব্যক্তি ৪০লক্ষ টাকা মুল্যের শেয়ার ক্রয় করে। তারা কেহ এ পর্যন্ত টাকার লভ্যাংশ পায়নি। এলাকার দরিদ্র সাধারন মানুষের টাকা আত্মসাতের পায়তারা করছে ইজারাদার। বেনাপোলের পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটনের নির্দেশ মোতাবেক ইজারাদারের কাছে এ সকল সাধারন মানুষ টাকা দিলেও এখন কেহ দায়িত্ব নিচ্ছে না। টাকা আদায়ের উদ্দেশ্যে শেয়ার হোল্ডার মোস্তাব সরদার শার্শা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।

    এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগকারী মোস্তাব আলী সরদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৪৫শ’ শেয়ার হোল্ডারের টাকা আত্মসাত করেছে ইজারাদার আব্দুল লতিফ ধাবক। থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ বিষয়টি নিস্পত্তির উদ্দেশ্যে তাদেরকে শুক্রবার ডেকে পাঠালেও ইজারাদার থানায় হাজির হয়নি।

    এ ব্যাপারে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা শার্শা থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই শরিফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, শেয়ার হোল্ডার মোস্তাব সরদারের অভিযোগের ভিত্তিতে দু’পক্ষকে গত শুক্রবার থানায় ডাকা হয়। অভিযোগকারী হাজির হলে পশুহাটের শেয়ারের টাকা আত্মসাতকারী অভিযুক্ত আব্দুল লতিফ ধাবক হাজির হয়নি।