শার্শার ফাঁড়ি ইনচার্জ খায়রুলের বিরুদ্ধে অবৈধ অর্থ বানিজ্যের অভিযোগ

    0
    243

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৮মার্চ,এম ওসমানঃ গত ৫মার্চ শার্শা উপজেলার পল্লীতে দশম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের পর গণধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়। প্রাথমিক ভাবে শুক্রবার সকালে ওই স্কুল ছাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা করে যশোর আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী গ্রহণ করা হয়। এ কাজে ব্যবহৃত ভাড়ায় মটরসাইকেল চালক নিজে না থাকলেও তাকে ঐ মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার মিথ্যা ভয় দেখিয়ে শনিবার তাকে আটক করে। পরে ৩০ হাজার টাকার নগদ নারায়নে ছাড়া পায়। সরকারী যে কোন গাছ কাটার জন্য নিয়ম অনুযায়ী টেন্ডার দিতে হয়।

    কিন্তু শার্শা উপজেলার খোদ গোড়পাড়া ফাঁড়ি ইনচার্জ খায়রুল আলম আইন রক্ষাকারী বাহিনীর লোক হয়েও বিনা টেন্ডারে ফাঁড়ির মধ্যের ৭/৮ টি মেহগনি গাছ ৪৫ হাজার টাকায় গোপনে বিক্রি করে দিয়েছে। ফাঁড়ির সম্মুখে রবিউল ইসলাম রেকর্ডের জমি কিনে ৫তলা ফাউন্ডেশন দিয়ে বিল্ডিং এর কাজ শুরু করলে তাঁকে ভয় দেখিয়ে এবং স্থানীয় সাংবাদিকদের নাম ভাঙ্গিয়ে ৩০ হাজার টাকা নিয়েছে ফাঁড়ি ইনচার্জ খাইরুল আলম। নিয়মিত মাসোহারা দিয়ে জামাল হত্যা মামলার অন্যতম আসামী উকিল রামচন্দ্রপুরে মাদকের একছত্রতা কায়েম করেছিল। কিন্তু তাতে বাধ সাধে পুলিশের এক উর্দ্ধতন কর্মকর্তা। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে তাকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হন তিনি। উকিল নাইতো কি হয়েছে মন্ত্রী ও উজ্জ্বল আছে না ?

    আরেক কান্ড ফাঁস হয়ে গেছে, রামচন্দ্রপুরের কচ্ছপ কবির প্রায়ই ২/৩’শ কচ্ছপ পার করে আনতে কচ্ছপ প্রতি খাইরুলকে দিতে হয় তার চাহিদা মাফিক টাকা এবং দূর্লভ প্রকৃতির এক জাতের পাখি ভারতে পাচার করতে সহযোগীতা করছে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে। ২মাস আগে খামার পাড়ার জামির হোসেনকে ২শ’ বোতল ফেন্সিডিলসহ আটক করে ২০হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। ভারতের লোকমান নামের এক ব্যক্তি বিএসএফে’র জন্য নাভারণ বাজার থেকে ইলিশ মাছ ক্রয় করে নিয়ে যাওয়ার সময় খাইরুল তাকে আটক করে। পরবর্তীতে দেন দরবার করে সাড়ে ৪হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। গত ২৭ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার সন্ধ্যায় পাকশিয়ার ফুলছদ্দিনকে মোটর সাইকেলসহ আটক করে ৩০হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়।

    ৬মার্চ শুক্রবার সন্ধ্যায় বাহাদুরপুর থেকে নাহিদ হাসান নামে এক যুবককে একটি মটরসাইকেল ও মদসহ আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে আসে। পরে রাতেই ১৮হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়।

    উত্তর শার্শার ক্রাইম জোন ও ভারত সীমান্ত লাগোয়া এলাকা এবং থানা থেকে অনতি দুরে গোড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ি অবস্থিত। এলাকার চোরাকারবারী, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, খুন, গুম, হত্যা, অপহরণ, নারী নির্যাতন, নারী-শিশু ধর্ষণ, মাদক ব্যবসাসহ সব ধরনের অপরাধ কর্মকান্ড রক্ষার্থে গোড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ি থাকলেও আদেও জনসাধারনের কাজে আসছে না। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গোড়পাড়া ফাঁড়ি ইনচার্জ খাইরুল আলম মাঠ পর্যায়ে কতিপয় অসাদু মাদক ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় সীমান্ত এলাকার চোরাপথ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার ভারতীয় পণ্য দেশে প্রবেশ করতে সহযোগিতা করছেন। তিনি চোরাকারবারী ও মাদক ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করে প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা অবৈধভাবে উপার্জন করে চলেছে। ফলে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এলাকার চোরাকারবারী ও মাদকব্যবসায়ীরা। গোড়পাড়া, কাশিপুর, শিকারপুর, রঘুনাথপুর, রামচন্দ্রপুর, লক্ষ্মনপুর সীমান্ত দিয়ে আসা চোরাচালান পণ্য চোরাকারবারী ও ব্যবসায়ীরা ফঁড়িতে মোটা অংকের মাসোহারা দিয়ে অবৈধ পণ্য পাঁচারে সহযোগিতা নিচ্ছে। পরে ব্যবসায়ীরা সুযোগ বুঝে খুলনা বিভাগের ১০ জেলাসহ ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে দেশের প্রত্যন্ত শহর ও গ্রাম অঞ্চলে। শার্শা থানার গোড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে খাইরুল আলম যোগদান করার পর থেকে এলাকায় শতাধিক মাদক সেবন ও ব্যবসার স্পট গুলো জমজমাট হয়ে উঠেছে। মাদক ব্যবসায়ীরা অবাধে মাদক দ্রব্য বেচা-কেনা করছে। দেশের বড় ধরনের অপরাধীরা এই চোরাচালান ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত বলে সূত্রে জানা গেছে। উত্তর শার্শা সীমান্ত এলাকার চোরাপথ দিয়ে মদ, গাজা, ফেনসিডিল, ইয়াবা, রেক্টিফাইট স্পিরিট ও নেশা জাতীয় ট্যাবলেট ছাড়াও যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট নিয়ে আসছে দেদারছে। মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহন করছে।

    এ ব্যাপারে শার্শা থানার গোড়পাড়া ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ খাইরুল আলম’র নিকট শনিবার বিকালে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ব্যস্ত আছি পরে কথা হবে।