রেজওয়ান করিম সাব্বির,জৈন্তাপুর সিলেট প্রতিনিধিঃ ২০১৫ সন হতে সিলেটের অন্যতম পর্যটন ষ্পট হিসাবে খ্যাতি অর্জন করে জৈন্তাপুর উপজেলার লাল শাপলার রাজ্যেটি। বর্তমানে বিলের সৌন্দর্য্য নষ্ট করে রাস্তার পাশ্বে বিলের জায়াগা দখল করতে গড়ে উঠেছে একর পর এক দোকান। যেন দেখার কেউ নেই।
সিলেটের অন্যতম পর্যটন ষ্পট হিসাবে খ্যাতি অর্জন করে জৈন্তাপুর উপজেলার লাল শাপলার রাজ্যেটি। বর্তমানে বিলের সৌন্দর্য্য নষ্ট করে রাস্তার পাশ্বে বিলের জায়াগা দখল করতে গড়ে উঠেছে দোকান। লালা শাপলার রাজ্যেটি পর্যটন স্পট হিসাবে ঘোষণা এবং লাল শাপলার রাজ্যের ৪টি বিল (ডিবি বিল, কেন্দ্রী বিল, ইয়ামবিল এবং হরফকাট বিল) গুলোর লীজ বাতিল এবং পর্যটন স্পট ঘোষনার দাবীতে জেলা প্রশাসক বরাবরে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রধান করা হয়।
অপরদিকে ডিবির হাওর লাল শাপলার রাজ্যে রক্ষা এবং অর্থনৈতিক জোন বাতিলের জন্য ২০১৬ সনে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার মানববন্ধন পালন করে। আন্দোলনের ফল হিসাবে এবং সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র ও বাংলাদেশ সরকারের অন্যতম প্রকৃতিক সম্পদ ইউরেনিয়ান পরিপূর্ণ খনি রক্ষায় লীজ বাতিল ও পর্যটন কেন্দ্র ঘোষনা করা হয়। সেই সাথে বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌরীন করিম এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে বিল সুরক্ষার জন্য লাল শাপলা বিল সুরক্ষা কমিটি গঠন করা হয়।
অতচ বিলের সৌন্দর্য্য বিনষ্ট করে লাল শাপলা সুরক্ষা কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম প্রভাব খাটিয়ে কোন প্রকার পূর্বানুমতি না নিয়ে দোকানগৃহ নির্মাণ করে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। সচেতন মহল ও পর্যটকরা বলেন বিলের প্রকৃতিক সৌন্দর্য্য বিনষ্ট করতে এরকম দোকান স্থান করা হয়েছে। মুলত রাস্তার মধ্যে দাঁড়ীয়ে ৪টি বিলের যে অপরুপ সৌন্দর্য্য উপভোগ করা যাবে তা আর পাওয়া যাবে না। সুরক্ষা কমিটির সদস্য হয়ে যদি এভাবে দোকানগৃহ স্থাপন করে লাল শাপলার রাজ্যে প্রকৃতিক দৃশ্য বিনষ্ট হবে।
অপরদিকে বিল গুলো সীমান্তবর্তী হওয়ায় দোকান গৃহ স্থাপন করলে মাদকের ছাড়া ছড়ি বেড়ে যাবে। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে দোকান গৃহ সরানোর জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানান পর্যটকরা।
এবিষয়ে জানতে লাল শাপলা বিলের সুরক্ষা কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, পর্যটকদের ছায়ার জন্য এবং বসার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে আমি শুনেছি। আমার জানা মতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে ঘর নির্মানের কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রকৃতিপ্রেমী মৌরীন কমির বলেন, জরুরী কাজে ন্যাস্ত থাকায় গত ৩/৪দিন যাবত আমি শাপলা বিলের খোঁজ খবর নিতে পারিনি। দোকানগৃহ নির্মানের বিষয়টি কেউই আমাকে জানায়নি। বিষয়টি জানানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ এবং শনিবার লোক পাটিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।