লাল শাপলার বিলে নির্মিত ব্র্যাঞ্চ ভেঙ্গে ফেলেছে

    0
    256

    রেজওয়ান করিম সাব্বির, জৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধিঃ জৈন্তাপুরে লাল শাপলার রাজ্যের ভ্রমন পিপাসুদের কথা চিন্তা করে উপজেলা নির্বাহি অফিসার মৌরিন করিম ডিবিবিলের ইজারা বাতিল সহ নানা উন্নয়ন কর্মকান্ড গ্রহন করেন। যাতে ভ্রমন পিপাসুরা একটু সাচ্ছন্দে আনন্দ উপভোগ করে। মৌরিন করিমের উদ্যোগে সম্প্রতি লাল শাপলার বিলে ৬টি স্থায়ী বে বসানো হয়। এছাড়া বিলটিতে যাথায়াতের জন্য রাস্তা মেরামত করা হয়। লাল শাপলার ৪টি বিল বিশ্ববাসীর নিকট আধুনিক সুযোগ সুবিধার পৌছে দেওয়ার জন্য তিনি নানা কর্মকান্ড হাতে নিয়েছেন।

    ইতোমধ্যে রাস্তা মেরামত শেষে রাস্তাটি পাকা করনের উদ্যোগ গ্রহন, পর্যটকের বসার জন্য বিলের বিভিন্ন অংশে স্থায়ী চেয়ার, ছাতা, গোলঘর, শৌচাগার, নিরাপদ পানি পানের জন্য গভীর নলকুপ বসানোর পরিকল্পনা গ্রহন করেন। পরিকল্পনার সমুহের মধ্যে রাস্তা মেরামত ও ব্রীজ সংস্কার কাজ সমাপ্ত করেন। পর্যটক বসার জন্য ৬টি স্থায়ী চেয়ার স্থাপন করেন। জৈন্তা রাজ্যের অন্যতম রাজা বিজয় সিংহের মাজার পরিচ্ছন্ন করেন। সম্প্রতি বিলটির সরকারি ইজারা বন্ধ করেন। বিলের পানি স্থায়ী ভাবে ধরে রাখার জন্য নালা বন্ধের উদ্যোগ চলমান রয়েছে। ভ্রমন পিপাসুদের কথা চিন্তাকরে এবং পরিবেশবাদীদের দাবীর প্রেক্ষিতে এবং খনিজ সম্পদ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ ৪টি বিল রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন উদ্যোগ গ্রহনকে স্থানীয় পরিবেশবাদীরা ও পর্যটকরা সাধুবাদ জানায়।

    এদিকে প্রশাসনের এমন উদ্যোগকে সমূলে ধ্বংস করতে ভূমি খেকু, মৎস্য খেকু চক্র, চোরাকারবারী চক্র সদস্যরা বিলটিতে পর্যটকদের জন্য নির্মিত ৬টি স্থায়ী বসার চেয়ার উপড়ে ফেলে তাদের শক্তির জানান দেয়। গত ১২ মার্চ জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের আইন শৃঙ্খলা বৈঠকে পরিবেশবাদী সংগঠনের সদস্য সাংবাদিক মোঃ রেজওয়ান করিম সাব্বির বিষয়টি প্রশাসনের দৃষ্টি গোচর করে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী তুলেন।

    কিন্তু উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অন্যদিকে এই মৌসুমে বিলের পুরো এলাকা জুড়ে লাল শাপলার গাছ বেড়ে উঠে। কিন্তু ভূমি, মৎস্য ও চেরাকাবারী চক্রের সদস্যরা বিলে গাবাদী পশু মহিস নামিয়ে লাল শাপলার গাছ বিনষ্ট করেছে, মৎস্যজীবিরা জ্বাল দিয়ে শাপলা গাছগুলো উপড়ে ফেলছে। যার ফলে বিলটি তার সৌন্দর্য্য হারিয়ে ফেলে এবং পর্যটক বিমূখ হয় এবং কোন প্রকার বাঁধা ছাড়াই তাদের চেরাকারবার, বিলের জমি দখল করতে পারে।
    জৈন্তিয়া পুরাকীর্তি সংরক্ষন পরিষদের সভাপতি ইমরান আহমদ সরকারী মহিলা ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক খাইরুল ইসলাম বলেন- একটি চক্র বিলটির সৌন্দর্য্য ধ্বংস, ভূমি দখলের চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। জৈন্তাপুরের প্রাকৃতি, প্রতœতত্ত্ব নির্দশন রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন সহ উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত পূর্বক দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।
    এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) প্রতিবেদককে জানান- আইন শৃঙ্খলা বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপনের পর পর্যটকদের জন্য নির্মিত চেয়ার উপড়ে ফেলার বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। অন্যান্য বিষয়গুলো আমরা যাচাই বাছাই করছি। এঘটনায় জড়িতদের খুঁজে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।