লাখো প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে নড়াইলবাসীর শহীদদের স্মরণ

    0
    237

    নড়াইল প্রতিনিধি: এবারও লাখো মোমবাতি জ্বেলে ভাষা শহীদদের স্মরণ করলো নড়াইলবাসী। একইসাথে ভাষা দিবসের ৬৯ তম বার্ষিকীতে ৬৯টি ফানুষ ওড়ানো হবে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে শহরের কুরিরডোব মাঠে লাখো মোমবাতি একসাথে জ্বলে ওঠে। ভাষা শহীদদের স্মরণে এবারের লাখো মোমবাতি প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠান হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর নামে উৎসর্গ করা হয়। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা।

    এর পূর্বে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একুশ আলো উদ্যাপন পর্ষদের সভাপতি প্রফেসর মুন্সি মোঃ হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ রবিউল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলু, একুশের আলোর সহ সভাপতি আ্যাডভোকেট ওমর ফারুক, সাধারন সম্পাদক কচি খন্দকার, পর্ষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি মলয় কুন্ড, অপর যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সায়েদ আলী শান্ত প্রমুখ।

    একুশ আলো উদ্যাপন পর্ষদের সভাপতি প্রফেসর মুন্সি মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন,  আমাদের লক্ষ্য এই মঙ্গল প্রদীপের আলো পৃথিবীর সমস্ত ভাষা ও সংস্কৃতিকে আলোকিত করে, সারা পৃথিবীকে উজ্জ্বল করবে। তিনি আরও বলেন, বিশ্বের কোথাও এ ধরনের ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠান হয় না। তাই বক্তরা অনুষ্ঠানটির মূল্যায়ন করে এটি ওয়ার্ল্ড গ্রিনিচ বুকে নাম অন্তভূক্তির আবেদন জানান।

    ৬ একরের বিশাল কুররডোব মাঠে শহীদ মিনার, জাতীয় স্মৃতি সৌধ, বাংলা বর্ণমালা ও আল্পনা তুলে ধরা হয়। সন্ধ্যার পূর্বে মোমবাতি প্রজ্জলনে কয়েক হাজার শিশু-কিশোর অংশগ্রহণ করে। ৬ টা ১৫ মিনিটে লাখো মোমবাতি জ্বেলে ওঠে। এ সময় ‘আমার ভায়ের রক্ত রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারী, আমি কি ভুলিতে পারি’ গানের মধ্য দিয়ে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের গণসংগীত শুরু হয়। নান্দনিক এ অনুষ্ঠানটি জেলা ও জেলার বাইরের  হাজার হাজার দর্শক উপভোগ করেন।

    উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী নড়াইলে ব্যতিক্রমী এই অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এ আয়োজন সফল করতে  ১মাস পূর্ব থেকে সাংস্কৃতিক কর্মী, সেচ্ছাসেবক ও শ্রমিক কাজ শুরু করে। তিন শতাধিক পুলিশ ও সেচ্ছাসেবক মাঠের চারপার্শ্বের সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষা করেন।