রাসূলেপাক ﷺ আমাদের জন্য আলাহ’র শ্রেষ্ঠ নেয়ামত

    0
    262

    নিজস্ব প্রতিনিধি,ঢাকা থেকেঃ প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাষ্ট, ঢাকার উদ্যোগে ৭ই নভেম্বর ২০১৯ইং ৯ই রবিউল আউয়াল বৃহস্পতিবার যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় পবিত্র জশনে জুলুছে ঈদ-এ-মিলাদ্ন্নুবী ﷺ উৎযাপন করা হয়। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল ১০.৩০ মিনিটে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত হাজার হাজার রাসুল ﷺ প্রেমিক আশেকান মুসল্লিগণের অংশ গ্রহণে ঢাকা মহানগরীর মোহাম্মদপুরস্থ কাদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া আলিয়া (কামিল) মাদ্রাসা প্রাঙ্গন হতে এক আজিমুশ্বান জুলুছ (ধর্মীয় র‌্যালী) বের হয়ে শাহজাহান রোড, ইকবাল রোড, আসাদ এভিনিউ, আসাদগেইট, আসাদ এভিনিউ, নুরজাহান রোড, তাজমহল রোড, শিয়া মসজিদ, রিং রোড, শ্যামলী, খিলজী রোড, বাবর রোড হয়ে মাদ্রাসা’র সম্মুখে এসে শেষ হয়।
    জুলুছ (ধর্মীয় র‌্যালী) শেষে মাদ্রাসা ময়দানে নুরাণী মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত জুলুছ (র‌্যালী) ও মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন রাসূলে করিম ﷺ ’র ৪১তম আওলাদ হযরতুল আল্লামা আলহাজ্ব সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ্ (মাদ্দাজিল্লুহুল আলী)। প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাহেবজাদা হুজুর কেবলা হযরতুল আল্লামা আলহাজ্ব¡ সৈয়্যদ মুহাম্মদ কাশেম শাহ্ (মাঃজিঃআঃ) এবং হযরতুল আল্লামা আলহাজ্ব¡ সৈয়্যদ মুহাম্মদ হামেদ শাহ্ (মাঃজিঃআঃ)।

    আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আঞ্জুমানের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব মুহাম্মদ মহসিন, সেক্রেটারী জেনারেল আলহাজ্ব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, এ্যাডিশনাল সেক্রেটারী আলহাজ্ব মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, জয়েন্ট সেক্রেটারী আলহাজ্ব মোঃ সিরাজুল হক, পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সুফী মিজানুর রহমান, ঢাকা আঞ্জুমানের চেয়ারম্যান, আলহাজ্ব মোঃ শহীদ উল্লাহ, সিঃ ভাইস- চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ ফজলুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মাদ্রাসার গভর্নিংবডির সভাপতি আলাহাজ্ব মোঃ নুরুল ইসলাম রতন, সেক্রেটারী আলহাজ্ব মোঃ সিরাজুল হক, জয়েন্ট সেক্রেটারী মোঃ মিজানুর রহমান, এসিসটেন্ট সেক্রেটারী আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল মালেক বুলবুল, ট্রেজারার আলহাজ্ব শোয়েবুজ্জামান চৌধুরী তুহিন, সদস্য শাহ্ হোসেন ইকবাল, হাজী নুরুল আমিন সহ ঢাকা আঞ্জুমান ও গাউসিয়া কমিটির নেতৃবৃন্দ।
    মাহফিলের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন- ঢাকা আঞ্জুমানের সেক্রেটারী আলহাজ্ব মোঃ সিরাজুল হক এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আঞ্জুমানের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব মুহাম্মদ মহসিন ও সেক্রেটারী জেনারেল আলহাজ্ব মোঃ আনোয়ার হোসেন। মাহফিলে জশ্নে জুলুছে ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী ﷺ ’র তাৎপর্য্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন জামেয়া-আহমদিয়া সুন্নিয়া, চট্টগ্রাম এর প্রধান মুহাদ্দিস শের-ই মিল্লাত আলহাজ্ব মাওলানা ওবায়দুল হক নঈমি সাহেব, কাদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া আলিয়া (কামিল) মাদরাসার অধ্যক্ষ কাজী আব্দুল আলিম রিজভী, মাওলানা মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন আল-আজহারী, মুফতী মাহমুদুল হাসান সহ দেশ বরেণ্য ওলামায়েকেরামগণ।

    মাহফিল পরিচালনা করেন উপাধ্যক্ষ মুফতী আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক ও হাফেজ মুনিরুজ্জামান।

    আগত মুসুল্লিরা বলেন, আমরা বিশ্বাস করি রাসুলপাক ﷺ আমাদের জন্য আল্লাহর শ্রেষ্ঠ নেয়ামত। সুতরাং ১২ই রবিউল আউয়াল হুজুর করিম ﷺ এর শুভাগমনের দিন হিসেবে সারা জাহানের জন্য ঈদ অর্থাৎ খুশির দিন। এদিনে শরীয়ত সম্মতভাবে খুশি উৎযাপনে যে কোন জাকজমক কর্মসূচি পালন করাই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের এক উত্তম উছিলা।
    শুকরিয়া মহিমাময় আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনের দরবারে। যিনি আমাদেরকে দান করেছেন অসংখ্য নেয়ামত। বিশেষত প্রধান নেয়ামত হিসেবে আল্লাহ্’তায়ালা প্রিয় হাবীব হুজুর করিম ﷺ কে সৃজন করে ধন্য করেছেন সমগ্র সৃষ্টি জগৎকে। অসংখ্য দুরূদ-সালাম প্রিয় নবীজির শানে। যাঁর সম্পর্কে স্বয়ং আল্লাহ বলেন- আপনাকে সৃষ্টি না করলে কিছুই সৃষ্টি করতাম না (আল হাদিস)। আমি আপনাকে সমগ্র সৃষ্টির জন্য রহমত স্বরূপ পাঠিয়েছি। হে মাহবুব আপনি বলুন, আল্লাহর রহমত ও করুনা প্রাপ্তির কারণে বান্দারা যেন খুশি উৎযাপন করে। এটা তাদের সকল সি ত এবাদত হতেও উত্তম।
    তাই আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি লাভের জন্য রাসুলে করিম ﷺ এর চল্লিশতম বংশধর কাদেরিয়া ত্বরিকতের উজ্জল নক্ষত্র যুগ শ্রেষ্ঠ আধ্যাত্মিক ব্যাক্তিত্ব পাকিস্থান ছিরিকোট দরবার শরীফ এর আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ (রাঃ)’র নির্দেশে আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাষ্টের উদ্যোগে ১৯৭৪ইং সালে এদেশে সর্ব প্রথম জশ্নে জুলুছের শুভযাত্রা শুরু হয়।
    তারই ধারাবাহিকতায় পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসে হুজুরে করিম ﷺ এর এ ধরায় শুভাগমনকে স্বরণ করে আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাষ্টের উদ্যোগে প্রতি বছর ৯ই রবিউল আউয়াল ঢাকা মহানগরীতে এবং ১২ই রবিউল আউয়াল চট্টগ্রাম বন্দর নগরীতে জাক-জমক ও যথাযোগ্য মর্যাদার এর সহিত জশ্নে জুলুছে ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী ﷺ উদযাপন করা হয়।

    মাহফিলে বক্তব্যের পর খতমে গাউসিয়া শরীফ ও মিলাদ শরীফ অনুষ্ঠিত হয়। সব শেষে বাংলাদেশসহ সমস্ত মুসলিম উম্মার শান্তি কামনায় দোয়া করেন হযরতুল আল্লামা আলহাজ্ব সৈয়্যদ মুহাম্মদ হামেদ শাহ্ (মাদ্দাজিল্লুহুল আলী)।