রানা প্লাজা ট্রাজেডি : ভবন মালিক সোহেল রানাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    0
    427

    ঢাকা, ২৫ এপ্রিল : সাভারের রানা প্লাজা ট্রাজিডির নায়ক ভবন মালিক সোহেল রানাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহফুজুল হক এ কথা জানিয়েছেন। তনি জানান, রানা প্লাজার মালিককে গ্রেপ্তার করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এর আগে গতকাল বুধবার ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা প্লাজা নির্মাণের ক্ষেত্রে ইমারত বিধিমালা যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন।

    রানা প্লাজা ট্রাজেডি : ভবন মালিক সোহেল রানাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
    রানা প্লাজা ট্রাজেডি : ভবন মালিক সোহেল রানাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাকে গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, রানাকে যেখানে পাওয়া যাবে, সেখান থেকেই গ্রেপ্তার করা হবে। এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। তিনি আরো বলেন, গতকাল বুধবার রাত থেকে আমরা রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাকে খুঁজছি। আশা করা যায়, শিগগিরই তাকে গ্রেপ্তার করা যাবে।
    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাভারে নবম তলা ভবন ধসে পড়ার ঘটনায় মন্ত্রণালয়ের দেয়া তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পর যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হবে। কিন্তু তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দেয়ার আগেই রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
    গতকাল বুধবার সাভারে দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে এসে বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, দুর্ঘটনার আগে কিছু মৌলবাদী ও বিএনপির ভাড়াটে লোক সাভারের ভবনটির গেট ও বিভিন্ন স্তম্ভ ধরে ‘নাড়াচাড়া’ করেছিল। ভবনটি ধসে পড়ার পেছনে এটিকেও ‘একটি কারণ’ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। আজ এ ব্যাপারে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি আগের অনুমানে অটল থেকে বলেন, এ রকম ঘটনা ঘটতেই পারে। তবে আমরা সবকিছু খতিয়ে দেখছি।
    এদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে শিল্প পুলিশ জানায়, ভবনটি বন্ধ রাখতে বলা হলেও গার্মেন্ট মালিকরা তা না শুনে সকালে কারখানা চালু করেন। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি বন্ধ রাখার প্রতিশ্রুতি দিলেও রানা প্লাজার মালিক মো. সোহেল রানা তা রাখেননি বলে অভিযোগ করেছে বিজিএমই কর্তৃপক্ষও।
    মঙ্গলবার রানা প্লাজায় ফাটল ধরার পর ওই ভবনে থাকা পাঁচটি পোশাক কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়। কিন্তু বুধবার সকালে গার্মেন্ট মালিকরা ফাটল ধরা ভবনেই শ্রমিকদের কাজ শুরু করতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ করেছেন বেঁচে ফিরে আসা অনেকেই। ভবন ধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ২২০ এ উন্নীত হয়েছে।