রাজশাহীতে ‘মান্ওয়া’র দশম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সপ্তাহব্যাপি চলবে

    0
    397

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৬অক্টোবরঃ ‘মান্ওয়া’( সাংকৃতিক সচেতনতায় একটি বিকল্প ধ্বনি) এর দশম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ( দশক পুর্তি) ও সহরায় বংগা উপলক্ষে ঐতিহ্যবাহি সহরায় ও লাঁগড়ে প্রতিযোগিতা এবং জাতি বৈচিত্র সাংস্কৃতিক উৎসব-২০১৫ আজ ১৬ অক্টোবর হতে রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার কাঁকনহাট পৌরসভা চত্বরে শুরু হয়েছে । অনুষ্ঠান সপ্তাহব্যাপি চলবে আগামী ২১ অক্টোবর ২০১৫ বুধবার শেষ হবে।

    আজ সহরায় বংগা উপলক্ষে ঐতিহ্যবাহি সহরায় ও লাঁগড়ে প্রতিযোগিতা এবং জাতি বৈচিত্র সাংস্কৃতিক উৎসব-২০১৫ অনুষ্ঠানে প্রথম দিনে উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা( কমান্ডার) মানতান বিশ্বনাথ হেমব্রম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ি-তানোর) আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব ওমর ফারুক চৌধুরী, এম পি ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আব্দুর রশিদ(সদর সার্কেল, রাজশাহী), কাঁকনহাট পৌরসভার মেয়র আলহাজ আব্দুল মজিদ। এছাড়াও বাংলাদেশ ও ভারত থেকে আগত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন।

    সপ্তাহব্যাপি সহরায় ও লাঁগড়ে প্রতিযোগিতা এবং জাতি বৈচিত্র সাংস্কৃতিক উৎসব- ২০১৫ তে  আয়োজনে থাকছে বংগান/পূজা, প্রতিযোগীতা, দারাম/ অভ্যর্থনা, বর্নীল উদ্বোধন, স্টল ও ডকুমেন্ট্রী প্রদর্শনী, আলোচনা সভা, সম্মাননা ও পুরষ্কার প্রদান, বাঙ্গালী আদিবাসী সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মশালা, বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সাংস্কৃতি শীর্ষক সেমিনার, পাহাড় ও সমতলের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, লোক সংগীতের আখড়া, নাটক, ও ভারত- বাংলাদেশের খ্যাতনামা শিল্পিদের পরিবেশনায় রকমারি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

    উল্লেখ্য, ‘মান্ওয়া’ ২০০৫ ইং সনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে অদ্যাবধি সুনামের সাথে বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে আসছে। একই সাথে নিজেদের উদ্যোগে সাংস্কৃতিক সচেতনতার মাধ্যমে সমাজের নানামুখী উন্নয়নমুলক কর্মসূচি তৈরী করে তা বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। যেমন-( সমাজ ও সামাজিক অবকাঠামোর উন্নয়ন, নেতৃত্বের উন্নয়ন, তথ্য সেবা, স্বাস্থ্য সেবা, পরিবার পরিকল্পনা, সামাজিক দায়বদ্ধতা মুক্ত ও দারিদ্রতা নিরসনে সাংস্কৃতিক কর্মপরিকল্পনার আওতায় নিয়ে কর্মসূচি বাস্তবায়ন) বিশেষ করে সকল আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর ধর্মীয় ও সামাজিক রীতিনীতি, তথা সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক চর্চা এবং স্বজাতীয় জিনিস পত্রের ব্যবহারে উৎসাহ ও সহায়তা দানের মাধ্যমে নান্দনিক বৈচিত্র্যকে টিকিয়ে রাখার দৃঢ় প্রচেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে।

    অপরদিকে বিলপ্তপ্রায় আবহেলিত আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতির যথাযথ মূল্যায়ন এবং তার সংরক্ষনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি দেশীয় অবহেলিত সংস্কৃতি যেমন( লোকগীতি, ভাটিয়ালি, জারি, সারি, পালাগান, কবিগান, ভান্ডারি, মুর্শিদি, আ লিক, ব্যাংয়ের বিয়ে ইত্যাদি) এর ব্যবহার করার প্রচেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছো।