রাজনৈতিক জোট গঠনকে আ’লীগ স্বাগত জানায়ঃপ্রধানমন্ত্রী

    0
    254
    ডেস্ক নিউজঃ প্র্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রাজনীতিতে স্বাধীনতা সবার আছে, জোট গঠনের অধিকারও আছে। রাজনৈতিক জোট গঠনকে আওয়ামী লীগ স্বাগত জানায়। আমাদের দেশে সবক্ষেত্রে স্বাধীনতা আছে। তিনি বলেন, উন্নত সমৃদ্ধশীল রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার। মুক্তিযদ্ধের চেতানায় বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।
    আজ সোমবার বিকালে গণভবনে সৌদি আরব সফর নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন।
    তিনি বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সৌদি আরব পাশে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মেজরিটি পাওয়া সত্ত্বেও সব দল থেকে নিয়েই মন্ত্রীসভা গঠন করেছি। দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হোক, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।
    শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ গাছের ছাল ও গাছের বাকল সব মিলে ঐক্য তৈরি হয়েছে। তবুও তারা ভালো কাজ করুক, এটাই চাই। এটা নিয়ে আমার আওয়ামী লীগ কোনো দুচিন্তা করে না। তারা এক হতে পেরেছে এটাই ভালো।’
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ড. কামাল হোসেনের হাত দিয়ে ৭২ এর সংবিধান সৃষ্টি হয়েছে আবার তিনিই তার কিছু দিক আপত্তিকর করে তুলেন কেন।
    সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়ে একপ্রশ্নে তিনি বলেন, নিরাপদ সড়ক নিয়ে আন্দোলনের তিনমাসে ৯৪৭ জন নিহত হয়েছে তারা কি নিয়ম মেনে ছিল। চালকদের পাশাপাশি পথচারীদেরও ট্রাফিক আইন মানতে হবে।

    অপর দিকে আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ও কাউন্সিলরদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    তিনি বলেন, ‘আমরা দারিদ্র্য ২১ ভাগে নামিয়ে এনেছি। আগে যা ছিল ৪০ ভাগ। আজকে মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত হয়েছে। আমরা যারা রাজনীতি করি তারা শুধু নিজের ভাগ্য গড়া বা আর্থিক সচ্ছলতার জন্য নয়, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত।’

    শপথ নেওয়া জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা যারা নির্বাচিত প্রতিনিধি, জনগণের কাছে ভোট চাইতে গিয়েছিলেন। যে ভোট তারা আপনাদের দিয়েছেন, তার বিনিময়ে আপনি যতদিন থাকবেন (ক্ষমতায়) তাদের কী দিতে পারলেন সেই হিসাবটা করতে হবে। জনগণের চাওয়া বুঝতে হবে। কিসে জনগণের কল্যাণ সেটা অনুধাবন করতে হবে।’

    তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সরকারে আসার পর সেই চেষ্টাটাই করেছি। যার ফলে আজকে বাংলাদেশের মানুষের জীবনে ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। দিনবদলের পালা শুরু হয়েছে। আর্থসামাজিক উন্নয়ন হয়েছে।’

    বরিশাল বিভাগের উন্নয়ন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের বরিশাল বিভাগ কতটা অবহেলিত ছিল, একবার চিন্তা করে দেখেন। প্রথমবার ক্ষমতায় এসেই সেই শিকাপুর দোয়ারিকা, গাবখানসহ বিভিন্ন ব্রিজ ও রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করি। বরিশালের যে শস্যভাণ্ডার নাম, সেই নামটাই হারিয়ে গিয়েছিল। আমরা সেই হারানো গৌরব ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। বরিশাল বিভাগজুড়ে উন্নয়ন চলছে।’

    মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ মাদকের হাত থেকে আমাদের পুরো সমাজকে মুক্ত করতে হবে। আমরা সন্ত্রাসমুক্ত, মাদকমুক্ত দেশ গড়তে চাই। আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছি, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই।’