রাজনগর উপজেলা পরিষদে ভাঙচুরের মামলা ধীরগতিতে

    0
    499

    বিশেষ প্রতিবেদক,মৌলভীবাজার: উপজেলা পরিষদ কার্যালয় ভাঙচুরের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান শাহাজান খান জানান উপজেলা পরিষদ কার্যালয় আমার সম্পত্তি নয় এইটা সরকারি অফিস,এই সরকারি অফিসে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়োর জন্য গত ১৪ ফেব্রুয়ারি উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিয়াংকা পাল এর কাছে আমি একটি লিখিত অভিযোগ করেছি । তবে অভিযোগের কাজকাম চলছে ধীর গতিতে।
    আর রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিয়াংকা পাল বলছেন উপজেলা পরিষদ কার্যালয় ভাঙচুরের বিষয়ে চেয়ারম্যান শাহাজান খান আইনি ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন । উনার অভিযোগের পেক্ষিতে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আমার উর্ধতন কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসক মহদয়কে বিষয় টি আমি লিখিত জানাই। আশা করি এই বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি হবে। এই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাছাড়া এক পক্ষ তাদের মামলাতে অফিস ভাঙচুরের কথা উলেক্ষ করেছেন।
    এদিকে সচেতন মহল বলছেন যেখানে সরকার দলের লোকজন মারামারি করে সরকারি অফিস করছে ভাঙচুর এখানে আমরা সাধারন মানুষের বাড়িঘর ভাঙ্গতে কত দুর? এতো দিন শুনে এসেছি সরকারি মালামাল ধরার চেষ্টা করলেই বিশাল বিপদ,আর রাজনগর গোলাগুলি করে উপজেলা পরিষদ কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে তারপরেও প্রশাসন প্রদক্ষেপ নিতে এতো বিলম্ব। ভাবতে অবাক লাগে।
    অন্যদিকে নাগরিক সমাজের লোক বলছেন মারামারি করেছেন দুটি পক্ষ,মামলা করেছেন দুটি পক্ষ,আর এখন একটি পক্ষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল । অপরপক্ষ মামলা মাথায় নিয়ে মিছিল মিটিং করে ব্যস্তসময় কাটাছেন । এখন বুজতে হবে আইনের চোখে কি কালো চশমা লাগানো?

    উলেখ্য:-মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলায় গত ১১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টার পর থেকে শুরু হয় তান্ডলিলা। দেশীয় অস্ত্রসহ রাজনগর উপজেলা পরিষদ এলাকায় জড়ো হন সন্ত্রসীরা। এক পর্যায়ে তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ,দেশীয়অস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্র সহ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় তারেক আহমদ নামের একজন গুলিবৃদ্ধ সহ ২০ জন আহত হয়।
    স্থানীয় সূত্র জানায় রাজনগর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহাজান খান ও মনসুর নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মিলন বখত এর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্র্ষ হয়।
    মিলন বখত এর নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলায় পিস্তল এবং শটগান সহ দেখা যায় রাজনগর উপজেলার ছাত্রলীগ সভাপতি রুবেল আহমেদ কে, রাজনগর উপজেলার যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ফৌজি, রাজনগর উপজেলার যুবলীগের সহ-সভাপতি সিজু আহমেদসহ সন্ত্রাসীরা। এক পর্যায়া সন্ত্রাসীরা উপজেলা পরিষদ কার্যালয় ভাঙচুর করে।