“লাশের ময়নাতদন্ত হয়নি”
আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৪অক্টোবরঃ রংপুরে জাপানি নাগরিক হোসেকোমিও হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত তিনজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বাদী হয়ে শনিবার রাতে মামলাটি দায়ের করেছেন। তবে ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখন হোসেকোমির লাশের ময়নাতদন্ত হয়নি। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা আছে তার মরদেহ।
এদিকে, শনিবার গভীররাতে বাংলাদেশের জাপান দূতাবাসের তদন্ত দলের কর্মকর্তারা রংপুরে এসে পুলিশ সুপারের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। তারা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হোসেকোমিও’র লাশ দেখেন এবং আলামত সংগ্রহ করেন।
তবে এ ব্যাপারে দূতাবাসের কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট পুলিশ সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
পুলিশ সুপারের সঙ্গে জাপানি দূতাবাস কর্মকর্তাদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক আর হাসপাতালের হিমঘরে লাশ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার বিষয়ে পুলিশের কোনো কর্মকর্তাই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
এছাড়া, রাজশাহী থেকে আসা সিআইডি পুলিশের একটি দল গভীর রাত পর্যন্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। দলটি জাপানি দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে হাসপাতালের হিমঘরে গেলেও তারা তদন্তের অগ্রগতি ও অন্যান্য বিষয়ে কোনো কথাই বলেননি।
এদিকে, রোববার সকালে তদন্ত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে র্যাবের একটি দল।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার সারাই ইউনিয়নের কাচু আলুটারী গ্রামে জাপানি নাগরিক হোসেকোমিওকে (৬৫) গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
পুলিশ জানায়, এক বছরের ভিসা নিয়ে জাপানি নাগরিক হোসিকনিও রংপুরে এসেছিলেন। ছয় মাস ধরে তিনি মাহিগঞ্জের আলুটারী এলাকায় জমি লিজ নিয়ে ঘাসের বীজসহ বিভিন্ন বীজ উৎপাদন করে আসছিলেন।
এর আগে গত সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে ইতালির নাগরিক সিজারি তাভেল্লাকে খুন করে দুর্বৃত্তরা। তাভেল্লার খুনিদের মতো রংপুরেও হোসি কোনিওকে হত্যা করতে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলে আসে। পুলিশ এ ঘটনায় পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসআইএল রংপুরে জাপানি নাগরিক হোসেকোমিকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে বলে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এমন সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।ইরনা