যৌন দস্যুদের অত্যাচারে অতিষ্ট পতিতারা

    0
    228

    আমারসিলেট24ডটকম,০৮মার্চঃ বছর ঘুরে আন্তর্জাতিক নারী দিবস আসে যায় কিন্তু সাপাহার এলাকার যৌন  কর্মীদের জীবনে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের কোন প্রভাব পড়েনা। দিনদিন যৌন দস্যুদের লাগাতার অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে সাপাহার এলাকার পতিতারা।
    পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক সাপাহার এলাকার বেশ কিছু পতিতার সুত্রে জানা যায়, পেটের দায়ে তারা এ পেশায় এসেছে। ভ্রাম্যমান পতিতা বৃত্তি করে কোন মতে তারা দিন যাপন করে। কিন্তু সমপ্রতি সাপাহার এলাকার একদল যৌন দস্যু তাদেরকে বারবার ঠকিয়ে মানবেতর জীবনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তারা জানান ওই সকল যৌন দস্যু খদ্দের সেজে তাদের সাথে চুক্তি করে খদ্দের দের পছন্দমত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে যাবার পরেই ঘটে বিপত্তি।

    যৌন  কর্মীরা জানান, চুক্তি অনুযায়ি যতজন খদ্দের সেখানে থাকার কথা থাকে তার চেয়ে অনেক বেশি।  ভুয়া খদ্দের সেজে যৌন দস্যুরা তাদেরকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে মনমত ভোগ করার পর কখনো নামমাত্র  কিছু টাকা দেয় কখনো খালিহাতে মারপিট করে ফিরিয়ে দিচ্ছে। পতিতারা তাদের ন্যায্য মূল্য চাইলে তাদেরকে এলাকা থেকে উচ্ছেদসহ নানা প্রকার হুমকি প্রদান করে থাকে। সামাজিক ভাবে তাদের অবস্থান ক্ষীণ হওয়ায় তারা কারো কাছে বিচার দিতে গেলে উল্টো তাদেরকে এলাকা ছাড়তে বলা হয় বলে তারা জানিয়েছেন। এলাকায়  ভুয়া খদ্দের নামক যৌনদস্যূদের সংখ্যা এত বেড়ে গেছে যে কে খদ্দের আর কে যৌন দস্যু তা বুঝতে পারছেনা পতিতারা। একেক বার একেক জন তাদের সাথে চুক্তি করলেও ঘটনাস্থলে পরিচিত বেশকিছু যৌন দস্যুর কবলে তারা বারবার পড়ছে বলে তারা জানিয়েছেন।
    দেশের বিভিন্ন শহরে পতিতাদের জীবন মানোন্নয়নে বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান কাজ করলেও সাপাহারের মত  এই মফস্বল এলাকাগুলিতে কেউ বা কোন প্রতিষ্ঠান কাজ করছেনা বলে তারা জানান।পতিতাদের দাবী এলাকার মানুষ পতিতাবৃত্তিকে পাপ আর পতিতাদেরকে পাপি হিসেবে দেখে ঘৃণা করে,কিন্তু যেসব যৌন দস্যু প্রতারণার মাধ্যমে বিনামুল্যে তাদের পাপি শরীরগুলোকে ভোগ করছে সমাজপতিরা তাদের দিকে একবারও নজর দিচ্ছেনা বরং এটাকে ভাল কাজ হিসেবেই দেখছে।