যে নদীতে কারেন্ট জ্বাল সেই নদীতে মৎস্য অবমুক্ত

    0
    734

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১২সেপ্টেম্বর,রেজওয়ান করিম সাব্বির:সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা মৎস্য দপ্তরের উদ্দ্যেগে পোনা মাছ অবমুক্তি কার্যক্রম করা হয়েছে।

    যে নদীতে নিষিদ্ধ কারেন্ট জ্বাল ব্যবহার করে মাছ ধরছে লোক জন সেই নদীতে গতকাল ১২ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুর ৩টায় সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা মৎস্য দপ্তর কর্তৃক ২০১৫-২০১৬ অর্থ বৎসরে আর্থিক রাজস্ব বাজেটের আওতায় উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের ধামড়ী নদীর সিলেট তামাবিল মহাসড়কের পার্শ্বে ১লক্ষ ২৫হাজার টাকা মূল্যের ৪শত ৩কেজি বিভিন্ন প্রজাতির পোনামাছ অবমুক্ত কার্যক্রম করেন জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার(ভূমি) ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বশির উদ্দিন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ ইমরান হোসেন চৌধুরী, প্রকল্প অফিসার দোলোয়ার হোসেন, অফিস সহকারী মোঃ আব্দুল মালেক, বিশিষ্ট সংবাদকর্মী শাহজাহান কবির খাঁন, দৈনিক সবুজ সিলেট পত্রিকার জৈন্তাপুর প্রতিনিধি মোঃ রেজওয়ান করিম সাব্বির।
    এব্যপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ফিসারম্যান সহ এলাকাবাসী জানায় যে নদীতে প্রতিদিন শতাধিক কারেন্ট জ্বাল ব্যবহার করে মাছ ধরছে লোকজন সেই নদীতে সরকারী কোষাঘারের ১লক্ষ ২৫হাজার টাকা মূল্যের মাছের পোনা অবমুক্তির যৌতিকতা নেই।

    এছাড়া এ সময়ে হাওরে বিলে উন্মুক্ত জলাশয়ে নিষিদ্ধ কারেন্ট জ্বাল ব্যবহার করা যাবে না মর্মে প্রজ্ঞাপন জারী থাকলেও মৎস্য অধিদপ্তরের অফিসার এখন পর্যন্ত কোন অভিযান পরিচালনা করেনি।
    এদিকে উপস্থিত সংবাদকর্মীরা বলেন নদীতে যেখানে অবৈধ কারেন্ট জ্বাল রয়েছে সেই নদীতে কিভাবে পোনা মাছ অবমুক্তি করা হয়েছে জানতে চাইলে উপস্থিত চেয়ারম্যান, সহকারী কমিশনার ও মৎস্য অফিসার কেই কোন উত্তর দেননি।