আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১১জুন,এম ওসমান: যশোরের শার্শার পল্লীতে এসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক বোন। এ সময় তার সঙ্গে থাকা ভাইকে বেঁধে রাখা হয়। ওই ঘটনায় আজগার আলী নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।
শার্শা উপজেলার সীমান্তবর্তী গোগা ইউনিয়নের রুদ্রপুর গ্রামে বুধবার রাত ১০টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। আটক আজগার আলীর সঙ্গে পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে আম কিনতে ভাইকে সঙ্গে নিয়ে রুদ্রপুর গ্রামে আসেন ওই নারী।
শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইনামুল হক জানান, শার্শার রুদ্রপুর গ্রামের জিয়াদ আলীর ছেলে আজগার আলী (৪০) বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ওই নারীর কাছে ফেনসিডিল বিক্রির টাকা পেতেন। ওই টাকা আদায় করতে না পেরে কৌশলে আম বিক্রির কথা বলে তাকে বাড়িতে ডেকে আনেন। ওই নারী তার ভাইকে সঙ্গে নিয়ে আজগার আলীর বাড়িতে আসেন।
তিনি আরও জানান, আম কেনার কথা বলে বুধবার রাতে ওই নারী ও তার ভাইকে পাশের স্কুলের মাঠে নিয়ে যায় আজগার আলী। মাঠে পৌঁছালে ভাইকে স্কুলের একটি কক্ষে হাত-মুখ বেঁধে ফেলে রাখে আজগর ও তার সঙ্গীরা। পরে আজগর, শহীদ ও সোহেল তাকে ধর্ষণ করে। বৃহস্পতিবার ভোরে তাদের ভয় দেখিয়ে বরিশালের বাসে উঠিয়ে দিতে শার্শার উলাশী বাজারে নিয়ে আসে আজগর ও তার সঙ্গীরা। দ্রুত স্থান ত্যাগ না করলে পুনরায় অপহরণ করে ধর্ষণ করা হবে বলে হুমকি দেয় তারা।
এ সময় নির্যাতিত ওই নারী ও তার ভাই চিৎকার দিলে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে এলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। বিষয়টি থানায় জানালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আজগারকে আটক করা হয়। নির্যাতিত নারী ও তার ভাইকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, ওই ঘটনায় শার্শা থানায় একটি মামলা হয়েছে। আজগারকে আটক দেখিয়ে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দুপুরে ওই নারীর জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে আদালতের মাধ্যমে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি জানান, অন্য দু’জনকে আটকের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর শার্শা উপজেলার নাভারন-সাতক্ষীরা সড়কের কুচেমোড়া এলাকায় ভাইকে বেঁধে রেখে বোনকে গণধর্ষণ করে এলাকার চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা।
