ম্যাজিক ডলার ও এক ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী সহ প্রতারক সেবুল জনতার হাতে কে আটক

    0
    228

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,মে,রেজওয়ান করিম সাব্বিরঃ ৩৪দিন পালিয়ে বেড়ানোর পর অবশেষে ম্যাজিক ডলার সহ প্রতারক চক্রের সদস্য সেবুল মিয়া(৩০) জনতার হাতে আটক। তার কাছ থেকে ১শত ডলার মূল্যের ৬টি ম্যাজিক নোট, কিছু সংখ্যক ভিউকার্ড, ৪টি তাবিজ, ২টি সীমকার্ড, ১টি মেমরী কার্ড, ১৫০টাকা মূল্যের ষ্টাম্প জব্দ করা হয়। পরে ইউপি চেয়ারম্যান প্রতারক চক্রের সদস্যকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

    এলাকাবাসী ও ইউপি চেয়ারম্যান সূত্রে জানাযায়- বিগত ৮এপ্রিল সকালে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার, পশ্চিম ভাগ গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে সেবুল মিয়া(৩০) জৈন্তাপুর উপজেলার আশামপাড়া গ্রামের জনৈক্য এক ব্যক্তির ৮ম শ্রেনী পড়ুয়া  নকল নাম রুপসী কে নিয়ে পালিয়ে যায়।

    এদিকে মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পন্থায় রুপসী ও সেবুলের সাথে যোগাযোগ করা হয়। এক্ষেত্রে সেবুল বিভিন্ন শর্তদেয়। সেবুলের সব শর্ত নিঃশর্ত ভাবে মেনে নিয়েছেন বলে জানানো হয় এবং তাদের বিবাহটি সামাজিক ভাবে সম্পন্ন করার আশ্বাস দেয়।

    ৩৪দিন পর প্রতারক সেবুল রুপসীকে নিয়ে গতকাল বিকাল সাড়ে ৫টায় জৈন্তাপুর বাজারে আসে। এসময় রুপসীর মামাকে দেখেতে পেয়ে প্রতারক সেবুল দৌড় দিলে স্থানীয় জনতা থাকে আটক করে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে নিয়ে যায়।

    চেয়ারম্যান সহ ইউপি সদস্যরা সেবুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানান রুপসীকে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক বিয়ে করে। প্রমাণ স্বরুপ সে ১শত ৫০টাকা মূল্যমানের ষ্ট্যাম্প দেখায়। কিন্তু ষ্ট্যাম্পটিতে বিবাহ দানকারী, স্বাক্ষী, কিংবা নিকাহ্ রেজিষ্ঠারের নাম স্বাক্ষার না থাকায় চেয়ারম্যান চৌকিদারের মাধ্যমে সেবুল কে তল্লাসী করা হয়।

    এসময় তার কাছ থেকে ৬টি ১শত ডলার মূল্যের ৬টি ম্যাজিক নোট, কিছু সংখ্যক ভিউ কার্ড, ৪টি তাবিজ, ১টি মেমরী কার্ড উদ্ধার করা হয়। ইউপি চেয়ারম্যান সেবুল কে জৈন্তাপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।

    এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান(ভারপ্রাপ্ত) ইন্তাজ আলী জানান- সেবুল স্বীকার করে বলে দীর্ঘ দিন থেকে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে মেয়েদের পটিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ সহ মেয়েদের পরিবারের কাছথেকে টাকা উদ্ধার করে আসছে।

    এছাড়া তার সাথে থাকা মেমরী কার্ডে বিভিন্ন মেয়েদের অসামাজিক কার্যকলাপের ভিডিও চিত্র সহ অশ্লিল ছবি পাওয়া যায়।

    এবিষয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জানান- সেবুলের স্বীকারোক্তিতে জানায় সে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকায় মেয়েদের সাথে মোবাইল ফোনে সম্পর্ক করে এবং এক পর্যায়ে তাদেরকে নিয়ে পালিয়ে যায়।

    এদিকে মেয়েদের পরিবার অভিযোগ দায়ের করবে বলে জানিয়েছে। অভিযোগ পেলে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হবে। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সেবুল ও রুপসী পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।