মৌলভীবাজার হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৭০-১০০ শিশু ভর্তি হচ্ছে

    0
    240

    “গত কয়েকদিনের তীব্র শীতে শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া ও সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ঠান্ডাজনিতে রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন গড়ে ৭০ থেকে ১০০ শিশু ভর্তি হচ্ছে। তবে শিশুদের জন্য পর্যাপ্ত শয্যা না থাকায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা” 

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৬জানুয়ারী,আলী হোসেন রাজন: গত কয়েকদিনে হঠাৎ করে ঠান্ডার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় মৌলভীবাজারে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা, যাদের অধিকাংশই নবজাতক। উন্নত চিকিৎসার আশায় জেলা সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৭০ থেকে ১০০ শিশু চিকিৎসা নিতে আসছে। তবে শিশুদের জন্য শয্যা তুলনামূলক কম হওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ডাক্তাররা। ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় শিশুদের প্রায় সকলেই শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। তবে চিকিৎসা সেবায় সন্তুষ্ট হলেও হাসপাতালে নেই শিশুদের অনেক ঔষধ।

    শিশু রোগীদের অভিভাবকরা বলেন শয্যা কম থাকায় শিশু ওয়ার্ডের প্রায় প্রতিটি শয্যায় ২ থেকে ৩ জন শিশুর চিকিৎসা চলছে। আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা দিতে ব্যাস্ত আছেন হাসপাতালের দায়িত্বরত সেবিকারা তবে অনেক ঔষধ আনতে হয় বাহিরের ফার্মেসী থেকে ।

    কনসালটেন্ট, শিশু, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, মৌলভীবাজার এর ডা. আব্দুল্লাহ আল বাকী জানান এমতাবস্থায় শিশুদের গরম কাপড় পরিধান ও মায়ের দুধ পান করানোর উচিৎ ।

    মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আকবর হোসেন চৌধুরী বলেন শীতের তীব্রতা বাড়লে শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হয়। তবে হাসপাতালে শিশুদের জন্য কিছু বিশেষ স্যালাইন না থাকায় তা কিনে আনতে হয় বাহিরের ফার্মেসী থেকে।

    তবে যতদিন শীত থাকবে ততদিন এমন পরিস্থিত চলমান থাকার আশঙ্কা রয়েছে। তাই অনতিবিলম্বে শিশুদের জন্য শয্যা বৃদ্ধি ও বিশেষ বিশেষ স্যালাইনের ব্যবস্থা করতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছেন শিশুদের অভিভাবকরা।