মৌলভীবাজারে হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের মিছিল সমাবেশ

    0
    374

    ঈদ-পূজায় মাসিক বেতনের সমান বোনাস প্রদান ও শ্রম আইন কার্যকর করার দাবি

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৪সেপ্টেম্বর:আসন্ন ঈদুল আজহা ও দূর্গা পূজায় প্রত্যেক হোটেল শ্রমিকদের মাসিক বেতনের সমপরিমান উৎসব বোনাস প্রদান, হোটেল সেক্টরে সরকার ঘোষিত নি¤œতম মজুরি ও শ্রম আইন কার্যকরের দাবিতে মৌলভীবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। ১৩ সেপ্টেম্বর রবিবার সন্ধ্যার সময় হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন শহরের চৌমুহনাস্থ কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌমুহনা পয়েন্টে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। মৌলভীবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং চট্টঃ-২৩০৫ এর সভাপতি মোঃ মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মীর মোঃ জসিমউদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্টিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাস ও ধ্রুবতারা সাংস্কৃতিক সংসদ জেলা কমিটির সভাপতি কবি শহীদ সাগ্নিক ।

    সমাবেশ বক্তারা বলেন দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পর এবছরের ২ জুলাই সরকারের উপ-শ্রম পরিচালক ও উপ-মহাপরিদর্শকের মধ্যস্থতায় মৌলভীবাজার জেলা হোটেল রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতি সাথে মৌলভীবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং চট্টঃ-২৩০৫-এর সকল হোটেল শ্রমিকদের মাসিক বেতনের সমপরিমান বোনাস প্রদান, সরকার ঘোষিত নি¤œতম মজুরির গেজেট ও শ্রম আইন বাস্তবায়ন এবং শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ করার প্রেক্ষিতে লিখিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু চুক্তি করলেও গত ঈদুল ফিতরের সময় ২/১ টি হোটেল ব্যতিত কোন মালিকই শ্রমিকদের চুক্তি অনুযায়ী বেতনের সমপরিমান বোনাস প্রদান করেননি।

    তাছাড়া বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র, সার্ভিস বই, সপ্তাহে দেড়দিন সাপ্তাহিক ছুটি, দৈনিক ৮ ঘন্টা কাজ, অতিরিক্ত কাজের জন্য দ্বিগুণ মজুরি প্রদান, বছরে ১০ দিন নৈমিত্তিক ছুটি, ১৪ দিন অসুস্থ্যতার ছুটি, প্রতি ১৮ দিন কাজের জন্য ১ দিন অর্জিত ছুটি, ১১ দিন উৎসব ছুটি প্রদানের আইন থাকলেও এবং মালিক সমিতি চুক্তি করলেও এই সকল আইনগত অধিকার হতে শ্রমিকদের বি ত করছেন। শ্রমিকরা দৈনিক ১০/১২ ঘন্টা অমানবিক পরিশ্রম করে অর্ধাহারে-অনাহারে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হয়। ২০০৯ সালের পর ৬ বছর অতিক্রান্ত হলেও হোটেল শ্রমিকদের জন্য নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণা করা হয়নি।

    এমতবস্থায় হোটেল সেক্টরে নতুন মজুরি বোর্ড গঠন করে বাজারদরের সাথে সংগতিপূর্ণভাবে মুল মজুরি ১০ হাজার টাকা ঘোষণা ও শ্রম আইন বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলন-সংগ্রাম ছাড়া দাবি আদায়ের বিকল্প কোন পথ নেই।
    উল্লেখ্য একই দাবিতে আগামী ১৫ সে্েপ্টম্বর বাংলাদেশ হোটেল-রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশন রেজিঃ বি-২০৩৭ ঘোষিত দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা শহরে মিছিল-সমাবেশের কর্মসূচি পালিত হবে।