মৌলভীবাজারে সাপের কামড়ে মৃত নারীকে বাঁচানোর চেষ্টা !

    0
    451

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৯আগস্ট,নিজস্ব প্রতিনিধিঃ   মৌলভীবাজারে সাপের কামরে এক চা শ্রমিকের মৃত্যুর পরও উজাদ্বারা (কবিরাজ) প্রাণ ফেরানোর চেষ্টা চলছে।মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার গাজীপুর চা বাগানে চা পাতা চয়নের সময় বিষাক্ত সাপের কামরে ময়না দাশ নামে এক চা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর চা বাগানের ব্যবস্থাপক কাজল মাহমুদ।

    গাজীপুর খ্রিষ্টান মিশনারী হাসপাতাল থেকে মৃত ঘোষনা করে লাশ ফেরত দেয়ার পর মৃত লাশকে বাঁচানের জন্য এখনও চলছে উজার ঝাঁরফোক জানান স্থানীয় সুত্র।

    গাজীপুর চা বাগানের ব্যবস্থাপক কাজল মাহমুদ জানান, গত রবিবার বাগানের ৪ নং সেকশনে কাজ করার সময় টিলালাইন এলাকার শ্রমিক মৃত বসন্ত দাশের স্ত্রী ময়না দাশকে একটি বিষাক্ত সাপ কামর দেয়। খবর পেয়ে ময়না দাশকে প্রথমে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে এ্যান্টিভেনাম ইনজেকশন না থাকায় তাকে সিলেটে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু রোগীর অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় শ্রমিকদের পরামর্শে তাকে কুলাউড়া উপজেলায় খ্রিষ্টান মিশনারী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে করা হয় গ্রামীণ চিকিৎসা। সে চিকিৎসায় মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত তার জ্ঞান ছিল। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে তিনি মারা যান বলে মিশনারীজ হাসপাতাল থেকে জানানো হয়। সেখান থেকে মঙ্গলবার বিকেলে তার লাশ বাগানে নিয়ে আসা হয়।

    এদিকে লাশ নিয়ে আসলেও তিনি মারা যাননি দাবী করে শ্রমিকরা উজা দিয়ে চিকিৎসা শুরু করেছেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান (কুলাউড়া ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ড) রাম বিলাস দোষার নানকা জানান মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে একই উপজেলার রবির বাজার এলাকার উজা আব্দুল করিম খান ঝারফোক শুরু করেন এবং থেমে থেমে তিনি ঝাড় ফোক চালিয়ে যান। করিম খানের ঝারফোতে কাজ না হওয়ায় আজ বুধবার আরও একজন উজা আনা হয়েছে।

    এব্যাপারে কুলাউড়া থানার ওসি মো: শামীম মোছা বুধবার সকালে সাড়ে ১০টায় জানান, মৃত ময়না দাশকে সৎকার করার জন্য তার পরিবারের লোকজনকে তারা রাত থেকেই বুঝাচ্ছেন। কিন্তু মৃতের স্বজনরা তা মানছেনা। তবে তিনি ঐ ঘটনায় বাগান ম্যানেজারকে দোষারোপ করে বলেন “তাকে বাগান ম্যানেজার সিলেট বা মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠালে হয়তো ময়না দাশকে বাঁচানো যেতো।”

    এ ব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা জানান, “আমরা তাকে সদরে রেফার করেছি। সেখানে নিয়ে গেলে তাকে  চিকিৎসা দেয়া সম্ভব ছিলো।”