মৌলভীবাজারে ১জনের মৃত্যু, ৫টি ভবন কোয়ারেন্টাইন ঘোষণা

    0
    250

    “এলাকাবাসীর অনুমান নির্ভর দাবী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত!পরিবারের অস্বীকার” 

    আলী হোসেন রাজন,মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি: করোনা সন্দেহে সোমবার (২৩ মার্চ) মৌলভীবাজার শহরের কাশিনাথ সড়কের ৫টি ভবনকে হোম কোয়ারেন্টাইন (স্বেচ্ছাবন্দী) নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, কাশিনাথ সড়কের এম আর ভিলা’য় রেজিয়া বেগম নামে যুক্তরাজ্য ফেরত ষাটোর্ধ্ব এক নারী অসুস্থ হয়ে মারা যান। তবে স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে ওই নারী প্রায় তিনমাস আগে জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে দেশে এসেছিলেন। তিনি হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন। এছাড়া পাশের আরেকটি বাসায় সদ্য ইতালি ফেরত এক যুবক অসুস্থ রয়েছেন।
    এ অবস্থায় এম আর ভিলাসহ আশেপাশের ৫টি ভবনকে করোনা সন্দেহে ‘হোম কোয়ারেন্টাইন’ ঘোষণা করে সাইনবোর্ড টানিয়ে দিয়েছে জেলা পুলিশ। ঘটনাস্থলে সিভিল সার্জন ডা. তৌহীদ আহমদ, মেয়র ফজলুর রহমান, উপজেলা নির্বাহি অফিসার মো. শরীফুল ইসলাম, সদর মডেল থানার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমানসহ স্বাস্থ্য বিভাগের টিম, পুলিশ ফোর্স এবং পৌরসভার টিম ছিলেন। এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র ফজলুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এবং তথ্য নিশ্চিন্ত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কারো সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

    অপরদিকে প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ওই বৃদ্ধার মৃত্যু নিয়ে অভিযোগ উঠলে সোমবার সকালে জরুরি বৈঠকে বসেন সিভিল সার্জনসহ মৌলভীবাজারের করোনা প্রতিরোধ কমিটি। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাঁচটি বাড়ি লকডাউন করা হয়।

    মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন ডা. তওহিদ আহমদ বলেন, এ বিষয়ে এখনও নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারব না। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে পরে জানানো হবে।

    মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান বলেছেন, বৃদ্ধার মৃত্যুর পর তার বাসাসহ পাঁচটি বাসা লকডাউন করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

    অপরদিকে মৌলভীবাজার কাশিনাথ সড়কের এম আর ভিলা,গ্রামের বাড়ী ভাদগাও এবং ইংল্যান্ড ক্যামডেন শহর নিবাসী প্রবাসী মকদ্দুস আলীর সহধর্মিণী রেজিয়া খাতুন (৬৭) গত কাল রবিবার হঠাৎ বুকে ব্যাথা শুরু হলে মৌলভীবাজার লাইফ লাইন হাসপাতালে ভর্তি হয় এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন দুপুর ১ টায় মৃত্যু বরণ করেন। রেজিয়া বেগম শুধু মাত্র ডায়বেটিস,ব্লাড পেশার রোগ ছিল এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি সুস্থ ছিলেন। তাছাড়া করোনা ভাইরাসের কোন লক্ষণ সর্দি জ্বর,কাশি তার শরীরের মধ্যে ছিল না বলে  মরহুমার  পারিবারিক সূত্র দাবী করেন।

    পারিবারিক সূত্রে আরও জানা যায় গত ১০ জানুয়ারি যুক্তরাজ্য থেকে  তিনি দেশে আসেন।তার মৃত্যু নিয়ে অনেকেই অনুমান নির্ভর নিউজ করছেন এবং করোনা ভাইরাসে  আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচার করছেন যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ। বাস্তবতার সহিত এর কোন মিল নেই। এরকম সংবাদ প্রকাশের ফলে বর্তমান নাজুক প্রেক্ষাপটে আতঙ্কের সৃষ্টি হতে পারে দাবী পরিবারের।