মৌলভীবাজারে ব্যবসায়ি রিপন হত্যার রহস্য উদঘাটন

    0
    477

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১০এপ্রিল,আলী হোসেন রাজন,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আখাইলকুড়া ইউনিয়নের পাগুরিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী রিপন মিয়া হত্যার ৯ দিন পর রহস্য উদঘাটন করেছে মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে পুলিশ আটক করেছে।

    আটককৃতরা হলেন, শেখ আবেদ আহমদ (৩৩) পিতা শেখ মো: মদন,মাতা সমিতা বেগম, সাং-মিরপুর।জায়েদ আহমদ আলাল (৩০) পিতা আব্দুর রহিম,মাতা কবিরূন্নেচ্ছা,সাং-জগৎপুর,ও মিনহাজ মিয়া (৩২ )পিতা মৃত মধু মিয়া, মাতা মৃত আলেয়া বেগম,সাং পাগুরিয়া।

    তাদের বাড়ি একই ইউনিয়নের বাসিন্দা বলে পুলিশ জানায়। তাদের দুজনকে আখাইলকুড়া এলাকা ও এক জনকে মৌলভীবাজার শহর থেকে আটক করে পুলিশ।

    আজ ১০এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুর ১টায় মৌলভীবাজার মডেল থানায় এক প্রেস বিফিং করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রাশেদুল ইসলাম পিপিএম জানান, আবেদ ও রিপন মিয়া তারা দুজনই এলাকায় দাদন ব্যবসা করত এলাকার অনেকেই রিপনের কাছ থেকে দাদন হিসেবে টাকা নিত কিন্তু আবেদর কাছ থেকে দাদনের টাকা কম নিত মানুষ। এর জের ধরে আবেদ রিপনকে খুন করার প্রস্তুতি নেয়। পরে টাকার বিনিময়ে রিপন মিয়াকে সে খুন করায়।

    এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সোহেল আহম্মদ,পুলিশ পরিদর্শক ( তদন্ত) মোহাম্মাদ নজরুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক (অপাঃ)মো: হারুন-অর-রশিদ।
    গত সোমবার ৯ এপ্রিল বিকেলে আদালতে ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তীমূলক জবানবন্দীতে মিনহাজ এই হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।

    উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল রোরবার শেষ রাতে মুদি দোকানি ও দাদন ব্যবসায়ী রিপন মিয়া প্রতিদিনের মতো রাতের খাবার শেষে দোকানের দরজা লাগিয়ে ভেতরে ঘুমান। সকালে এলাকাবাসী দোকানের দরজা ভাঙ্গা দেখে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে রিপনের লাশ উদ্ধার করে।

    তার মাথায় ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাত রয়েছে। রিপন মিয়ার একই এলাকায় বাড়ি হলেও নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চোরের হাত থেকে রক্ষা করতে ৮ থেকে ১০ বছর যাবৎ ব্যবসা পরিচালনা শেষে দোকানের ভেতর তিনি রাত্রিযাপন করতেন।

    নিহত রিপন একই এলাকার কাছন মিয়ার বড় পুত্র।