মৌলভীবাজারে বিএনপি-জামাতের গোপন সমাবেশ বন্ধ

    0
    264

    বিশেষ প্রতিবেদক,মৌলভীবাজারঃ করোনা ভাইরাসের কারনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সারাদেশে ওয়াজ, মাহফিল, তীর্থযাত্রাসহ সব ধরনের ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক গণসমাবেশ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। কিন্তু সরকারের নির্দেশ অমান্য করে মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার পাঁচগাও ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে চলছে কিছু দিন পর পর গোপনে মিটিং।

    এলাকাবাসীর একটাই প্রশ্ন কিশের মিটিং হয় ? খোঁজ নিয়ে জানা যায়,রাজনগর উপজেলার পাঁচগাও ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার জাহাঙ্গীর আলমের আপন চাচাত ভাই সাবেক মেম্বার জামাল হোসেন সুন্দর ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি, সাধারন সম্পাদক আকল আলী ও জাহাঙ্গীর আলমের আপন বড় ভাই আব্দুল রব বিএনপির নেতা। গ্রামে বিএনপিকে শক্তিশালি করতেই জামাত শিবির নিয়ে জামাল হোসেন সুন্দরের বসত বাড়িতে কিছু দিন পর পর গোপনে মিটিং হয়।

    জাহাঙ্গীর আলম ১নং ওয়ার্ডের একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে সরকারের নিদের্শ অমান্য করে কি করে এসব সমাবেশ করেন। এলাকার কয়েক জন  মুরুব্বি বলেছেন দুদিন পর পর কিশের মিটিং বা সমাবেশ হচ্ছে তা আমরা জানিনা। জানতে চাইলে আমাদেরকে হুমকি ধামকি দিয়ে থাকে । গোপনে জানতে পারলাম সাবেক মেম্বার ও ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জামাল হোসেন সুন্দর উনার বসত বাড়িতে জামাত শিবির ও বিএনপির মানুষ আশা যাওয়া করে।

    মিটিংএর ধারাবাহিকতায় আজ বৃহস্পতিবার ৯ জুন সকাল ১০টায় জামাল হোসেন সুন্দরের বসত বাড়িতে শারামপুর,নিধনপুর,কইতুরা,হিয়ালিমুরা,কেওলা,ধুলিজুড়া,বাঘর বাড়ি,মেদিনি মহল,জামরা গ্রাম থেকে দলে দলে জামাত শিবির ও বিএনপির ৪শ থেকে ৫শ কর্মিরা এসে জড়ো হয়। মেম্বার জাহাঙ্গীর আলম সমাবেশের কথা শিকার করে বলেন আমার ওয়ার্ডের একটি বাজারে ছোট্র ঘটনা তুলে ধরেছি ৯ গ্রামের মানুষের কাছে। এজন্য আমার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও রাজনগর থানা থেকে কোন অনুমতি নেই নি।

    পাঁচগাও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগেরে সাধারন সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ছানা বলেন আমি শুনেছি কিছু দিন পর পর ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জামাল হোসেন সুন্দরের বসত বাড়িতে জামাত বিএনপির গোপনে মিটিং হয়। আজ সকালে ৯টি গ্রামের জামাত বিএনপির ৪শ থেকে ৫শ নেতা কর্মিদের নিয়ে সমাবেশ হছিলো ,আমি গিয়ে দেখি পুলিশ সমাবেশ বন্ধ করে দিয়েছে ।

    পাঁচগাও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসূন নূর আহমদ বলেন মিটিং বা সমাবেশের কথা আমার জানা নেই। এ বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ এর নজরে আসলে তিনি তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠিয়ে সমাবেশ বন্ধ করেন বলে তিনি জানান। করোনা ভাইরাসের সময়, জামাত বিএনপির এসব মিটিং বা সমাবেশ যাতে না হয় সে দিকে প্রশাসন নজর দিবে এমনটাই আশা করছেন গ্রামের সহজ সরল মানুষগুলি।