এলাকাবাসীর দাবী “গেদন মিয়া নিজে পুলিশকে ফোন দিয়েছেন। সে যদি এইসব অবৈধ কাজের সাথে জড়িত থাকতো তাহলে পুলিশকে বলবে কেন ? লুকিয়ে ফেলে দিতে পারতো। এই ঘটনা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত”
আলী হোসেন রাজন,মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজর জেলার রাজনগর উপজেলার পাঁচগাও ইউনিয়নের ধুলিজুড়া গ্রামের আকলের বাজারে গেদন মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে ইয়াবা ও জাল টাকা রাখার অভিযোগে আটক করেছে রাজনগর থানা পুলিশ। পুলিশ সুত্রে জানা যায়,গত ১৫ নভেম্বর সোমবার বিকেলে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রাজনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিনয় ভূষণ চক্রবর্তীসহ একদল পুলিশ ধুলিজুড়া গ্রামের আকলের বাজারে মৃত সাইস্তা মিয়ার ছেলে গেদন মিয়ার নিজ দোকানে অভিযান চালায়। এসময় তার দোকান তল্লাশি করে ৯০হাজার ১ হাজার টাকার জাল নোট ও ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে।দোকানের মালিক গেদন মিয়াকে রাজনগর থানায় নিয়ে আসা হয়। সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানান রাজনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিনয় ভূষণ চক্রবর্তী।
অপরদিকে জাল টাকা ও ইয়াবার বিষয়টি এখন এলাকায় তোলপার তুলেছে, এলাকাবাসীর দাবী তারা বলছেন, “হারুন মিয়ার ছেলে রিদয় মিয়া দোকানে ঝাড়ু দিতে গিয়ে দোকানের ক্যাশ বক্সের নিচে দেখতে পায় একটি পুটলা সেই পুটলা খোলে দেখা যায় কিছু টাকা ও কয়েকটা ছোট প্যাকেট,সাথে সাথে দোকানের বাহিরে থাকা গেদন মিয়াকে খবর দেয়া হয়। ওই সময় গেদন মিয়া তার একটি পূরনো মামলার হাজিরা দিতে মৌলভীবাজার কোর্টে ছিল সেখান থেকে তার দোকানে আসে এবং এলাকাবাসীকে নিয়ে গেদন মিয়া রাজনগর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহাজান মিয়া, উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আলাল শেখা, পাচঁগাও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাদ মিয়া এলাকার মেম্বার জাহাঙ্গীর মিয়া ও তার ভাই পারভেছ মিয়াকে ফোন করে ঘটনাটি বলেন,পারভেছ মিয়াসহ এলাকার কয়েক জন রাজনগর থানাকে অবগত করলে পুলিশ ঘর্টনাস্থলে আসে, এসে ৯০ হাজার ১ হাজার টাকার জাল নোট ও ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট দেখতে পান। এই ঘটনায় গেদন মিয়াকে থানায় নিয়ে জাল নোট ও ইয়াবা ট্যাবলেটের মামলা করা হয়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় বাজারের সহ সভাপতি সুন্দর মিয়া বলেন, “আমি একজন ব্যবসায়ী গেদন মিয়া ও ব্যাবসায়ী। আজকে তার দোকানে কে বা কারা এসময় অবৈধ জিনিস রেখে তাকে ফাঁসিয়েছে। আরেক দিন আমাকে ও ফাঁসাতে পারে তাই আমরা চাই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দেয়া হউক।”
এলাকার অরবিন্দু,আলাল মিয়া, পারভেছ মিয়া, উজ্জল মিয়া, বলেন, “গেদন মিয়া নিজে পুলিশকে ফোন দিয়েছেন। সে যদি এইসব অবৈধ কাজের সাথে জড়িত থাকতো তাহলে পুলিশকে বলবে কেন ? লুকিয়ে ফেলে দিতে পারতো। এই ঘটনা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত” বলে তাদের দাবী।
ঘটনার দিন গেদন মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন “আমি প্রায় দের মাস হয়েছে দেশে এসেছি। আমি আমাকে ফাঁসানোর জন্য কিভাবে এসব অবৈধ জিনিস রাখবো ? আমি চাইলে পালিয়ে যেতে পারতাম। যেখানে আমি নির্দোষ সেখানে আমি পালাবো কেনো ?”
গেদন মিয়া নির্দোষ এলাকাবাসীর এমন দাবীর ব্যাপারে কথা হয় রাজনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিনয় ভূষণ চক্রবর্তীর সাথে, ফোনে আলাপ করলে তিনি জানান। “গেদন মিয়ার ভাতিজা রিদয় মিয়াকে দোকানের চাবি দিয়ে সে চলে যায়। রিদয় মিয়া দোকান খুলে অবৈধ জিনিস পেয়ে এলাকার মানুষকে জানায় ,আমরা খবর শুনে ঘটসাস্থলে যাই ,সেখানে দোকান তল্লাশি করে ৯০ হাজার ১ হাজার টিকি (টাকার) জাল নোট ও ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করি। দোকানের মালিক তার দোকানে কি রাখবে না রাখবে সেটাতো আমরা বলতে পারিনা। যার দোকানে এইসব অবৈধ মাল পাওয়া গেছে আমরা সেই দোকানের মালিক গেদন মিয়াকে আটক করেছি। এই বিষয়ে মৌলভীবাজার রাজনগর থানায় মাদক হেফাজতে রেখে বিক্রি করার দায়ে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন ও জাল নোটের কারনে বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুটি মামলা হয়েছে।