মৌলভীবাজারে এক্সটেঞ্জের আড়ালে হুন্ডি সিন্ডেকেট বেপরোয়া।

    0
    317

    আলী হোসেন রাজন,মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ প্রবাসী অধ্যুষিত মৌলভীবাজারে অবৈধ হুন্ডি ব্যবসা জমে উঠেছে। সরকার অনুমোদিত মাত্র একটি বৈদেশীক মানি এক্সচেঞ্জ থাকলেও পুরো শহর জুড়ে অন্য ব্যবসার আঁড়ালে ব্যাংঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে অবৈধ হুন্ডি ব্যবসা। এই অবৈধ হুন্ডি ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা বলছেন পেটের দায়ে তারা এ ব্যবসা করছেন। আর পুলিশ বলছে, কারো বিরুদ্ধে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচারের অভিযোগ পেলে নেওয়া হবে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা।

    মৌলভীবাজারে ডাক্তারের চেম্বার, মোবাইল,টাইলসের দোকান, কাপড় ও প্রসাধনী সামগ্রীর দোকানসহ বিভিন্ন ব্যবসার আঁড়ালে গড়ে উঠেছে অবৈধ হুন্ডি ব্যবসা এবং বিদেশে টাকা পাচারের শক্তিশালী সিন্ডেকেট। সম্প্রতি একটি গোয়েন্দা রিপোর্টে উঠে এসেছে বিদেশে টাকা পাচারকারী প্রায় অর্ধ শতাধিক ব্যক্তির নাম মানুষের মুখে মুখে আলোচিত হচ্ছে। এদের মধ্যে অনেকেই ইতিমধ্যে গাঁ ঢাকা দিয়ে আত্মগোপন করেছেন আর কয়েকজন ইতিমধ্যে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। প্রবাসী অধ্যুষিত মৌলভীবাজার জেলার বহু লোক লন্ডন, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে টাকা পাঠান।

    ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা আসতে দেড়ি হওয়াসহ নানা ঝামেলা এড়াতে ঘরে বসে প্রবাসীদের পাঠানো টাকা দ্রুত পেতে হুন্ডি ব্যবসায়ীদের শরনাপন্ন হয়ে থাকেন।
    মৌলভীবাজার শ্রীমঙ্গল রোড দর্জির মহল,বেরীর পশ্চিম পাড় অবস্থিত সোনালী ব্যাংক বৈদেশিক শাখা এলাকায় গড়ে উঠা এসব অবৈধ বৈদেশিক মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ীরা সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে দোকানের স্যাটার বন্ধ করে দেয়।
    সরকারের তালিকাভূক্ত অবৈধ হুন্ডি ব্যবসায়ী ও বিদেশে টাকা পাচারকারি ইয়াওর আহমদ বলছেন পেটের দায়ে ডলার পাউন্ডের ব্যাবসা করছেন হুন্ডি ব্যবসার সাথে তিনি জড়িত নয়। কিন্তু বৈধ ডলার পাউন্ড ব্যাবসার আরালে কি ব্যবসা হয় সেটা খুজে দেখেন। অবৈধ ডলার পাউন্ড ব্যাবসায়ীরা বলছেন আমাদের ব্যবসার বৈধতা নাই তবে একমাত্র বৈধতা আছে সৈয়দ মানি এক্সচেঞ্জ এর, আমরা টুকটাক মোবাইল সামগ্রী, টাইলস এবং কাপড় বিক্রির আড়ালে ব্যবসা করছি।
    সরকার অনুমোদিত একমাত্র বৈদেশিক মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ী সৈয়দ মানি এক্সচেঞ্জ এর বিরুদ্ধে রয়েছে বিদেশে অবৈধ টাকা পাচারের অভিযোগ।
    তবে সৈয়দ মানি এক্সচেঞ্জ এর মালিক সৈয়দ ফয়ছল আহমদ বলেন আমার ব্যাবসা বৈধ আমি সরকারকে রাজ্বস্ব দিয়ে ব্যবসা করছি,আমার বিরুদ্ধে কে বা কারা অভিযোগ করছে তার কোন ভিত্তি নেই এসব মিথ্যা,তা চারা ব্যাংঙের ছাতার মত গড়ে উঠা অবৈধ ব্যাবসা না থাকলে সরকারকে আরো বেশি করে রাজ্বস্ব দিতে পারতাম।
    সোনালী ব্যাংক বৈদেশিক মৌলভীবাজার শাখার ব্যবস্থাপক শাহেদ আহমদ চৌধুরী বলছেন মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার মধ্যে সরকার অনুমোদিত বৈদেশিক মানি এক্সচেঞ্জ হলো সৈয়দ মানি এক্সচেঞ্জ,তারাই বৈধ ভাবে ব্যাবসা করছে ।কিন্তু বিভিন্ন দোকানে সামগ্রীর আড়ালে অবৈধ ডলার পাউন্ডের ব্যাবসার কারণে সরকার তার থেকে রাজ্বস্ব পাচ্ছেনা।

    মানি লন্ডারিং করে বিদেশে টাকা পাচারকারি ও অবৈধ হুন্ডি ব্যবসার অভিযোগ কারো বিরুদ্ধে পেলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনর্চজ মো: আলমগীর।
    সরকারের তালিকাভূক্ত অবৈধ হুন্ডি ব্যবসায়ী ও বিদেশে টাকা পাচারকারিরা রাতারাতি হয়ে উঠেন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। সরকার খুব শীর্ঘই এদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিবে এমনটাই আশা করছেন জেলা বাসী।