মেঘনায় এমভি মিরাজ-৪ থেকে শিশুসহ ৬ জনের লাশ উদ্ধার

    0
    228

    আমারসিলেট24ডটকম,১৫মেঃ মুন্সিগঞ্জ থেকে শরীয়তপুরের সুরেশ্বর যাওয়ার পথে প্রায় ৩ শতাধিক যাত্রীনিয়ে ঝড়ের কবলে পড়ে মেঘনায় ডুবে যাওয়া লঞ্চ এমভি মিরাজ-৪ থেকে এ পর্যন্তনারী ও শিশুসহ ৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও অসংখ্য যাত্রী নিখোঁজরয়েছে তাই হতাহতের সংখ্যা আরো অনেক বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আজবৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে গজারিয়া উপজেলার দৌলতপুর সংলগ্ন মেঘনানদীতে এ লঞ্চ ডুবির ঘটনা ঘটেছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। ঘটনাস্থলে গজারিয়ানৌ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) বজলুল হকসহ স্থানীয় লোকজন ট্রলারে করে লঞ্চটিশনাক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক সাইফুল হাসানলঞ্চডুবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
    নিহতদের মধ্যে ৩ জনের পরিচয় গেছে।তারা হলেন- বাবা জামাল শিকদার (৫৫) ও তার ছেলে আবিদ শিকদার (২৮) এবং টুম্পাবেগম (২৬)। এছাড়া নিহতদের মধ্যে একজন শিশু এবং আরো একজন নারী রয়েছে। তাদেরবাড়ি শরীয়তপুরের সুরেশ্বর বলে জানা গেছে। বেঁচে যাওয়া যাত্রী ওপ্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লঞ্চটি ডুবে যাওয়ার সময় অসংখ্য যাত্রী লাফিয়েনদীতে পড়ে সাতর কেটে তীরে যাওয়ার সময় স্থানীয় মাছ ধরার নৌকা অনেককেই উদ্ধারকরে। এছাড়াও অসংখ্য যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে।
    লঞ্চ ডুবির খবর পেয়েনারায়ণগঞ্জ থেকে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছেবলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিওটিএ) জনসংযোগকর্মকর্তা আশফাকুর রহমান রনি জানিয়েছেন। গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্তকর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আহমেদ জানান, আমরাও লঞ্চ ডুবির ঘটনা শুনেছি।ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
    ওই লঞ্চের যাত্রীদের একজন রাজ্জাক জানান, সদর ঘাট দুপুর একটার দিকে শরীয়তপুরের উদ্দেশে রওয়ানা হয় লঞ্চটি। পথেমুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা সংলগ্ন দৌলতপুর এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ ঝড়ের কবলেপড়ে। এতে মাত্র ৩ মিনিটের মধ্যে লঞ্চটি ডুবে যায়। লঞ্চটিতে অন্তত ৩০০যাত্রী ছিলো বলেও জানান তিনি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, লঞ্চের চালক যদি একটুবুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতো তাহলে পাশের একটি শাখা নদী যেতো পারতো। এতে হতেহতাহত না হওয়ার সম্ভাবনা ছিলো।