মিয়ানমার সীমান্তে টহল-যুদ্ধবিমান মোতায়েন চীনের

    0
    210

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৫মার্চঃ প্রতিবেশী মিয়ানমারের বিমান হামলায় চার বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার পর সীমান্তে টহল ও যুদ্ধবিমান বিমান মোতায়েন করেছে চীন। বেইজিং হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, এ ধরনের হামলার ঘটনা আরেকবার ঘটলে ‘চূড়ান্ত ব্যবস্থা’ নেয়া হবে।

    চীনা বিমান বাহিনীর মুখপাত্র শেন জিংকের বরাত দিয়ে সরকারি বার্তা সংস্থা শিনহুয়া জানিয়েছে, এসব বিমান মিয়ানমারের সামরিক বিমানকে শনাক্ত, পর্যবেক্ষণ ও সতর্ক করবে এবং দূরে রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

    এর আগে চীনের উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিউ ঝেনমিন বেইজিংয়ে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত থিট লিন ওহনকে তলব করে বিমান হামলার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে কড়া প্রতিবাদ করেছেন এবং ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, হামলায় জড়িত ও দোষী ব্যক্তিদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। সীমান্তে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন লিউ।

    এদিকে, চীনা কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান ফ্যান চ্যাংলং বলেছেন, সীমান্তে আর যদি এ ধরনের হত্যার ঘটনা ঘটে তাহলে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেয়া হবে। মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা সার্ভিসের কমান্ডার-ইন-চিফ মিং অং এইচলিয়ানের সঙ্গে ফোনালাপের সময় তিনি এ কথা বলেন। একই সঙ্গে চ্যাংলং বিমান হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিচার, ক্ষমা চাওয়া এবং ক্ষতিপূরণ দিতে বলেছেন। এর পাশাপাশি এসব বিষয়ে কি করা হয়েছে তা চীন সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর কথাও বলেছেন তিনি।

    শুক্রবার চীনের ইউনান প্রদেশের একটি আখ ক্ষেত্রে বিমান হামলা চালিয়েছে প্রতিবেশী মিয়ানমারের বিমান বাহিনী। এতে চারজন চীনা বেসামরিক নাগরিক নিহত ও নয়জন আহত হয়। মিয়ানমারের শান প্রদেশে তৎপর কোকাং গেরিলাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে দেশটির সামরিক বাহিনী। কখনো কখনো এ লড়াই সীমান্ত পেরিয়ে চীনের ভেতরেও ছড়িয়ে পড়ে। কয়েক দশক ধরে কোকাং গেরিলাদের সঙ্গে চলছে এ সংঘর্ষ; তবে ১৯৮৯ সালে একটি যুদ্ধবিরতি হয়েছিল। অবশ্য, মাঝেমধ্যে সে যুদ্ধবিরতি ভেঙে পড়ে।ইরনা