মিডিয়ায় বিবাহিত ও অবিবাহিতরা সিক্রেট প্রেমে বিভোর

    0
    237

     আমারসিলেট24ডটকম,১৯মেঃ  ভালোবাসা আছে, কিন্তু কমিটমেন্ট (ওয়াদা) নেই। বিবাহিত হয়েও প্রাক্তন প্রেমীকের খোঁজ। মেয়ে হোক বা ছেলে, বিবাহিতা কিংবা অবিবাহিত৷ সকলেই সিক্রেট প্রেম চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু, ভেবে দেখেছেন কি কেউ যদি এসবের উপর নজর রেখে চলে তবে? ‘স্বামী-স্ত্রী আর সে’য়ের মাঝখানের সম্পর্কের খুঁটিনাটির নজরবন্দি করছে কেউ। কিন্তু কে সে? খুব চিন্তায় পড়লেন কি? অবশ্য চিন্তা করারই কথা, আড়ালে আবডালে একটু আধটু পরকীয়া তো আপনিও করেন। এই ধরনের লোকেদের ওয়েব দুনিয়ার চিটার বলা হয়৷ আর এই ধরনের ওয়েবসাইটে প্রাইভেটে অ্যাফেয়ারের চাহিদায় লোক সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সাইবার মিডিয়ার বদৌলতে বিশ্বাসঘাতকতা বেড়েই চলেছে৷ আদি যুগ থেকে বর্তমানে বিশ্বাসঘাতকতার চেহারা গোটাটাই বদলে গিয়েছে।আর সেই বিশ্বাসঘাতকদের পালেই হাওয়া দিচ্ছে সোস্যাল মিডিয়া৷ এই মিডিয়া গোপন লোকেদের গোপনভাবে তাদের পুরোনো প্রেমিক বা প্রেমিকার সঙ্গে ফের এক হওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে। রিলেশনশিপ মনিটর ওয়েবসাইট জানিয়েছে, প্রতিদিন প্রায় ৫০০ জন বিবাহিত লোক ভালোবাসা খুঁজে বেড়ান। পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্যই মানুষ সোস্যাল মিডিয়াতে আসেন৷ কিন্তু, সমস্যা তখনই হয় যখন তারা তাদের প্রাক্তন প্রেমীকে খুঁজতে এই ধরনের সাইট ব্যবহার করেন৷ যাদের বিবাহিত জীবন সুখের তারাও যেমন পুরোনো সম্পর্কের মাঝে নতুনত্ব খুঁজতে সোস্যাল মিডিয়ার আসেন তেমনই অনেক লোক এমনও আছেন যারা অনুভূতির ছোঁয়া পেতে চান। ফেসবুক বা অন্যান্য সোস্যাল মিডিয়া সাইট আপনার পুরনো জীবনকেও জীবিত রাখে। পুরনো প্রেমকেও ভুলতে দেয় না৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানুষ বুঝতে পারেন না তারা পরকীয়ার মত ঘৃণ্য প্রেমের দিকে ছুটে চলেছেন৷ তারা কখনও ভাবতেও পারেন না যে তাদের এই কাজ কখনও ধরা পরে যেতে পারে। আর সেখানেই নিজের পার্টনারের প্রতি নজর রাখতে ডাটা রিকভারি কি-লগিঙয়ের মতো সফটওয়্যারের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। এমনই সোস্যাল সাইটের কারণে ভারতের দিল্লির বাসিন্দা পালকী বালা তার স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন।কারন তিনি জানতে পেরেছিলেন তার স্বামী সোস্যাল সাইটে নিজের প্রাক্তন প্রেমিকাকে খুঁজছে। পালকী বালা গোয়েন্দার কাছে গেলে নতুন এই খলনায়কের কথা জানতে পারেন। পালকী দেখতেন তার স্বামী রোজই ল্যাপটপে কাজ করছেন। তিনি সবসময় পালকীকে এড়িয়ে যেতেন এবং রাতে দেরি করে বাড়ি আসতেন। কিন্তু যখন জানতে পারলেন তার স্বামী এখনও তার প্রাক্তন প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছেন পালকীর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েন। দিল্লির এক গোয়েন্দা সংস্থা দাবি করেছেন যে সোস্যাল সাইটের এই খলনায়কের সাহায্যে ব্ল্যাকমেলিংয়ের মতো নোংরা খেলা চলছে। বেসরকারি গোয়েন্দা সঞ্জীব দেশওয়াল জানিয়েছেন, ফেসবুক থেকেই বেশি সমস্যা হচ্ছে। প্রথমে ফোন নম্বর দেয়া নেয়া হয় তারপর দেখা হয়। কিছু গ্রুপও তৈরি হয়েছে যারা ব্ল্যাকমেইল করছে৷। তাই চেনা লোকেদের রিকোয়েস্টই অ্যাকসেপ্ট করা উচিত। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে সোস্যাল মিডিয়া আমাদের জীবনকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। কিন্তু অপর সত্যিটা হল এই সোস্যাল মিডিয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে। এবার এটা আমাদের উপর নির্ভর করছে যে আমরা কীভাবে এর ব্যবহার করব। সুত্রঃইন্টারনেট।