মালয়েশিয়ান ফ্লাইটটি গুলি করে ভূপাতিতঃদাবী লেখকের

    0
    210

    আমারসিলেট24ডটকম,১৮মেঃ থাই-মার্কিন যৌথ বিমান মহড়ার সময় মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের নিখোঁজ(?) ফ্লাইট এমএইচ৩৭০কে ভুলক্রমে দক্ষিণ চীন সাগরে গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে।এরপর মানবতার বিরুদ্ধে এ অমার্জনীয় অপরাধ ধামাচাপা দেয়ার জন্য চাতুর্যের সঙ্গে নিখোঁজ বিমানটির খোঁজে পরিচালিত অনুসন্ধান তৎপরতা ভুল পথে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সদ্য প্রকাশিত ‘ফ্লাইট এমএইচ৩৭০: দ্যা মিস্ট্রি’ নামের একটি বইয়ে এ দাবি করেছেন যুক্তরাজ্যের লেখক নিগেল কাওথ্রোন।

    মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের চীনগামী বোয়িং ৭৭৭ বিমানটি গত ৮ মার্চ কুয়ালালামপুর থেকে ২৩৯ আরোহীসহ ওড়ার প্রায় এক ঘণ্টা পর রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায়। এরপর এ বিমানের খোঁজে কয়েকটি দেশ সম্মিলিতভাবে নজিরবিহীন অনুসন্ধান তৎপরতা শুরু করলেও ৭১ দিন পরও এ সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

    নিগেল কাওথ্রোন তার বইয়ে বলেছেন, বিমানটির ট্রান্সপোন্ডার বা যোগাযোগ যন্ত্র যখন বন্ধ হয়ে যায় ঠিক সে সময়ে ওই এলাকার সাগরের তেলের রিগে কর্মরত এক শ্রমিক একটি জ্বলন্ত বিমানকে সাগরে পড়তে দেখেছেন। সে স্থানে থাই-মার্কিন যৌথ বিমান মহড়া চলছিল সেখানেই এ ঘটনা ঘটেছে এবং এ মহড়ায় আমেরিকা ও থাইল্যান্ড ছাড়াও আরো কয়েকটি দেশ অংশ নিয়েছে।

    মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী বিমানটি নিখোঁজ হয় মাঝরাতে এবং পরদিন দক্ষিণ চীন সাগরের পানিতে তেল ভাসতে দেখা গেছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমথেকে খবর দেয়। নিগেল কাওথ্রোনের অনুমান সত্যি হয়ে থাকলে সেই রাতেই থাই-মার্কিন যৌথ মহড়ায় অংশগ্রহণকারী মার্কিন নেতৃত্বাধীন সেনাবাহিনী সাগর থেকে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলে।

    এরপরও যাতে তলিয়ে যাওয়া কোনো ধ্বংসাবশেষ বা লাশ ওই সাগরে ভেসে উঠলে সেদিকে মানুষের দৃষ্টি না পড়ে সেজন্য ‘নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পরও কয়েক ঘণ্টা বিমানটি আকাশে উড়েছে’ বলে কল্পকাহিনী ফাঁদা হয়। সে কল্পকাহিনীর সূত্র ধরে দক্ষিণ চীন সাগর থেকে তল্লাশি অভিযান চলে যায় ভারত মহাসাগরে; আর সেই ফাঁকে দক্ষিণ চীন সাগরের সব আলামত লোপাট করে দেয়া হয়।
    মানবতার বিরুদ্ধে এ ভয়াবহ অপরাধ ধামাচাপা দিতে এ সব দেশ সম্মিলিতভাবে অনুসন্ধান প্রক্রিয়াকে ভুল পথে পরিচালিত করেছে। আর এ কারণেই দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে অনুসন্ধান চালিয়েও নিখোঁজ বিমানের কোনো সন্ধান এখন পর্যন্ত পাওয়া যায় নি।
    নিখোঁজ এ বিমান নিয়ে এত ভুল তথ্য দেয়া হয়েছে যে তা বিশ্বাস না করাই সবচেয়ে ভাল কাজ বলে দাবি করেছেন এ অনুসন্ধানী লেখক। লেখক আরো বলেন, বিমানে ট্র্যাকিং সিস্টেম আপগ্রেড করা হলে কোনোভাবেই নিখোঁজ হতে পারত না ফ্লাইট এমএইচ৩৭০। এ জাতীয় আপগ্রেডের জন্য বিমান পিছু মাত্র ১০ ডলারের সমপরিমাণ অর্থ ব্যয় হতো বলে জানান তিনি।সুত্রঃইন্টারনেট।