মালেশিয়ায় মাটি চাপা পড়ে শার্শার এক যুবক নিহত

    0
    219
    এম ওসমান : মালেশিয়ায় পাইপ লাইনের কাজ করতে গিয়ে মাটি ধসে চাঁপা পড়ে নিহত হয়েছে সোহেল রানা ওরফে বকুল (২৫) নামে এক বাংলাদেশী যুবক।
    বকুল নিহতের ঘটনায় যশোরের শার্শা উপজেলার ডিহি ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের বাড়িতে চলছে এখন শোকের মাতম। সন্তানকে হারিয়ে দিশেহারা তার পরিবারের সদস্যরা। নিহত বকুল ঐ গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে।
    নিহতের মা আল্লাদি বেগম জানায়, তিন বছর আগে দালালের প্রলোভনে পড়ে সংসারের সচ্ছলতা ফেরাতে জায়গা জমিন, গরু-ছাগল সহায় সম্বল বিক্রি করে পরিবারের বড় সন্তান বকুলকে অবৈধভাবে মালেশিয়াতে পাঠান তার পরিবার। ভালই চলছিল আব্দুল মতিন দম্পতির সংসার। কিন্তু বিধিবাম ভাগ্যের নির্মম পরিহাস সেই সুখ তাদের কপালে আর সইলো না।
    গত বৃহস্পতিবার তার সহকর্মী বিকেল ৫টায় হঠাৎ মালেশিয়া থেকে ফোন করে তাদের ছেলে বকুল পাইপ লাইনের কাজ করতে গিয়ে মাটি ধসে চাপা পড়েছে। এমন সংবাদ পেয়ে হতভাগা মা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
    সর্বশেষ সোমবার সকালে বকুলের বাড়িতে গেলে দেখা যায় বকুল বকুল বলে কাঁদতে কাঁদতে বারবার মুর্ছা যাচ্ছেন মমতাময়ী মা। কান্না জড়িত কন্ঠে তিনি জানান বকুল আর এই পৃথিবীতে বেঁচে নেই।
    পরিবারের সদস্যদের কান্নার শব্দে বাড়ির আস পাশের পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে। বকুলের মৃত্যুর খবর পেয়ে পাড়া প্রতিবেশী ও আত্নীয় স্বজন বাড়িতে ছুটে আসছেন। কেউ তার মা-বাবাকে সান্তনা দিতে পারছেন না। বকুলই ছিল তাদের পরিবারে একমাত্র আয়ের উৎস। তার মৃত্যুতে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে একটি পরিবারের ভবিষ্যৎ।
    পরিবারের একমাত্র চালিকা শক্তিকে হারিয়ে সবাই এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। নিহতের মরদেহ বর্তমানে মালেশিয়ার কানতাপ নামে একটি হাসপাতালে রয়েছে। তবে নিহতের মরদেহ বাংলাদেশে কবে নাগাদ আসবে এই ব্যাপারে সঠিক কোন তথ্য দিতে পারেনি বকুলের পরিবার।
    ডিহি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হোসেন আলী বকুল নিহতের ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, ছেলেটি মালেশিয়ায় কাজ করতো। শুনেছি বৃহস্পতিবার সে মারা গেছে।