মার্কিন নৌঘাঁটিতে বন্দুকধারীর গুলিতে হত্যা ১২

    0
    236

    আমারসিলেট 24ডটকম , সেপ্টেম্বর  :  মার্কিন নৌবাহিনীর ওয়াশিংটনে অবস্থিত নৌঘাঁটিতে একজন বন্দুকধারী নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ১২ জনকে হত্যা করার পর বন্দুকধারী নিজেও  পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে। পুলিশ ধারণা করছে, আরো দুজন বন্দুকধারী ওই কার্যালয় এলাকায় লুকিয়ে থাকতে পারেন। এ ঘটনার পর কাছাকাছি অবস্থিত থাকা মার্কিন সিনেট ভবন আপাতত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
    পুলিশের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক মাধ্যমগুলো জানায়, আক্রমণকারী ওই ব্যক্তি নৌবাহিনীর সাবেক একজন সদস্য। কিন্তু নৌ বাহিনীর এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমগুলোকে জানিয়েছে, নৌঘাঁটিতে সামরিক পোশাক পরা অজ্ঞাত ব্যক্তিরা সোমবার হামলা চালিয়েছে। এতে ১২ জন নিহত হন। এরন এ্যালেক্সিস নামের ৩৪ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি স্থানীয় সময় সকাল ৮টার কিছু পরে বন্দুক নিয়ে নৌবাহিনীর এলাকায় ঢুকে পড়ে। ওই ঘটনায় আরো ১০ থেকে ১২ জন আহত হন।
    নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ২০ মিনিটে তিন বন্দুকধারী এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এ সময় একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেলেও বাকি দুজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। তবে বাকি দুই বন্দুকধারীকে ধরতে এখনো তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কিন্তু হামলার কারণ ও উদ্দেশ্য এখনো জানা যায়নি বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।
    বন্দুকধারীদের হামলায় ১২ জন নিহত হয়েছে স্বীকার করে ওয়াশিংটনের পুলিশ প্রধান জানিয়েছেন, এফবিআই এই ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে। ঘটনার পর প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তার নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন এবং সংকট নিরসনে কেন্দ্রীয় সরকারকে যথাসম্ভব পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
    দপ্তরটিতে অবস্থানরত সব নৌসেনাকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। পুলিশ এলাকাটি ঘিরে রেখেছে। টহল দিচ্ছে হেলিকপ্টারও।

    নৌবাহিনী জানিয়েছে, মার্কিন নৌবাহিনীর ওই ঘাঁটিতে প্রায় ৩ হাজার মানুষ কাজ করেন। এখানে বিভিন্ন ধরনের জাহাজ ও সাবমেরিন তৈরি, মেরামত ও কেনাবেচা হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তার ভাষায় কাপুরুষোচিত এ হামলার ঘটনার নিন্দা জানান। একই সঙ্গে তিনি হোয়াইট হাউজ এবং ক্যাপিটল হিলে জাতীয় পতাকা অর্ধনিমিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।ওয়াশিংটনের মেয়র ভিনসেন্ট গ্রে জানিয়েছেন, তার শহর এর আগে এমন ঘটনার মুখোমুখি হয়নি। গ্রে বলেন, এটি লোমহর্ষক ও শোকাবহ একটি ঘটনা। যুক্তরাষ্ট্রের অন্য শহরে এমন ঘটনা ঘটলেও তাদের সাম্প্রতিক ইতিহাসে এধরনের ঘটনা আর ঘটেনি বলেও জানান তিনি।