মামা ভাগনীকে ধর্ষণ করে জ্বালিয়ে আলামত নষ্ট করে দেয়

    0
    227

    আমারসিলেট24ডটকম,০৯এপ্রিলঃ চট্টগ্রামের পটিয়ায় আপন অষ্টদর্শী নিজ ভাগনীকে ধর্ষণ করে গোপনীয়তা রক্ষার জন্য হত্যা করে গভীর রাতে শহরে নিয়ে শশ্মানে দাহ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষিতা গৈড়লা গ্রামের বাপ্পী মুখার্জীর মেয়ে মুক্তা মুখার্জী (১৫)। সে ছোট বেলা থেকে মামার বাড়ীতে থেকে পড়া লেখা করে আসছিল। ধষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে নগরীর বলুয়ার দীঘির পাড়স্থ অভয় মিত্র মহাশশ্মানে নিয়ে আলামত নষ্ট করে দেয়। ঘটনাটি ঘটে গত ২৬ মার্চ রাতে। গতকাল মঙ্গলবার ঘটনাটি ব্যাপক আলোচিত হলে সাংবাদিকদের নজরে আসে। ধর্ষক আপন মামা ঘাতক পলাশ কুমার ভট্টাচার্য্য (২৭) এ ঘটনা ঘটায় বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে। বর্তমানে ঘাতক পলাশ ভট্টচার্য্য এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। সে ওই গ্রামের বাবুল ভট্টাচার্য্যরে পুত্র। ঘটনাটি প্রথমে গোপন রাখার চেষ্টা করলেও পরে এলাকায় ফাঁস হয়ে যাওয়ায় লোকজনের মধ্যে চাঞ্চল্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। ঘাতক লম্পট পলাশ কুমার ভট্টাচার্য্যরে ফাঁসির দাবী জানিয়েছেন গৈড়লা স্কুলের সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা । ঘাতক পলাশ পটিয়া হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ প্রতীক চৌধুরীর সহকারী হিসেবে কাজ করত।

    গত ২৬ মার্চ রাতে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করেন। ওই দিন রাতে হৃদ রোগে আক্রন্ত অজুহাত দেখিয়ে পলাশের পিতা বাবুল ভট্টাচার্য্যর নামে রাত সাড়ে ১০ টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার জন্য পটিয়া হাসপাতল থেকে সরকারী এম্ব্যুলেন্স ভাড়া করেন। সেখানে বাবুলকে না নিয়ে মুক্তা মূখার্জীকে তুলে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্য নিয়ে যায়। পলাশ এসময় পাশের বাড়ীর রাম প্রাসাদ ভট্টাচার্য্য, অলক ভট্টাচার্য্যসহ তিনজনকে সাথে নিয়ে যায়। লাশ গাড়ীতে উঠানোর সময় জীবিত আছে মর্মে দেখার জন্য পলাশ মুক্তার নাকে অক্সিজেনের নল লাগিয়ে দেয়। গাড়ীটি চট্টগ্রাম মেডিকেলের কাছাকাছি পৌঁছলে মেডিকেল যেতে চাইলে ড্র্র্রাইভারকে মেডিকেলে না নিয়ে বলুয়ার দীঘির পাড় মহা শশ্মানে নিয়ে যেতে বলেন। এসময় ড্রাইভার জাকির হোসেন ও অলক ভট্টাচার্য্য এর কারণ জানতে চাইলে ঘাতক পলাশ তাদের হুমকি দেন। পরে মাঝপথে অলক গাড়ী থেকে নেমে যায় পরে চালক লাশ রাতে বলুয়ার দীঘির শশ্মানে নামিয়ে দিয়ে চলে আসে।

    গতকাল মঙ্গলবার পটিয়া থানা পুলিশ ঘটনাটি তদন্তের জন্য গৈড়লা গ্রামে যায়। লোকজন থেকে পুলিশ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেন। এ ঘটনার ব্যাপারে এম্ব্যুলেন্স চালক জাকির হোসেনসহ আরো ৪/৫ জন ব্যক্তি স্থানীয় সাংবাদিকদের তথ্য দেন। মুক্তা মূখার্জীর মা বাপ্পী মুখার্জীকে পটিয়া ধলঘাট থেকে বাঁশখালী উপজেলার সাধন পুর গ্রামের প্রদীপ মূর্খাজীর সাথে গত ২০ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিনের মধ্যে তাদের পারিবারিক কলহ দেখা দিলে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে।এর পর থেকে বাপ্পী মুখার্জী বাপের বাড়ীতে আশ্রয় নিয়ে গার্মেন্টস এ চাকুরী করে। এব্যাপারে প্রত্যক্ষদর্শী অলক ভট্টাচার্য্য বলেন, স্কুল ছাত্রীর মামা পলাশ কুমার ভট্টাচার্য্য ধর্ষনের পর হত্যা করার ঘটনাকে অসুস্থতা হিসবে দেখিয়ে চিকিৎসার জন্য চমেকে যাবার কথা বললে আমরা তার সঙ্গে চট্টগ্রাম শহরে রওনা হই। কিন্তু মেডিকেল না নিয়ে শশ্মানে নিয়ে যাওয়ায় আমাদের সন্দহ হলে আমি গাড়ী থেকে নেমে যাই। পরে ঘরে এসে খবর নিয়ে জানতে পারি তাকে হত্যা করা হয়েছে।

    পটিয়া হাসপাতালের এম্ব্যুলেন্স চালক মোহাম্মদ জাকির হোসাইন বলেন, রোগীর অবস্থা দেখে আমার সন্দেহ হয় যাবার পথে মেডিকেলের কাছাকাছি গেলে মেডিকেলে না নিয়ে বলুয়ার দীঘির শশ্মানে নিয়ে যেতে চাইলে আমি প্রতিবাদ করি। সে আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে শশ্মানে নেয়ার জন্য বাধ্য করে। নিহত স্কুল ছাত্রীর মা বাপ্পী মুখার্জী পারিবারিক সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে কোন সাংবাদিকের সাথে কথা বলতে চাইলেও বলতে পারছে না শুধু কান্না আর কান্না স্বামীর বাড়ী ছাড়ার পর বাপের বাড়ি ছাড়তে চাইছে না । বাপের বাড়ী ছাড়তে হলে আর কোথাও দাঁড়ানোর শেষ ঠিকানা নাই তার এ ভয়ে মুক্তার মা মুখ খোলছে না। এব্যাপারে পটিয়া থানার ওসি মফিজ উদ্দীনের সূত্রে জানা যায়, ঘটনাটি এলাকার লোকজন থেকে জানতে পেরে আমি তদন্তের জন্য গতকাল মঙ্গলবার এলাকায় পুলিশ পাঠিয়েছি তদন্তের কাজ চলছে।