মানুষ দু’মুঠো ভাত খেয়ে শান্তিতে ঘুমাকঃপ্রধানমন্ত্রী

    0
    237

    আমার সিলেট  24 ডটকম,১০নভেম্বরঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, হরতালের নামে মানুষ পুড়িয়ে মারার দৃশ্য দেখে আমার খুব কষ্ট হয়। এসব দেখে মনে হয় আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না । দেশের মানুষ দু’মুঠো ভাত খেয়ে শান্তিতে ঘুমাক-এটাই আমার প্রত্যাশা। আমি চাই দেশের মানুষ সুখ আর শান্তিতে থাকুক। আজ সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় খতিব ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমামদের সম্মেলনে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
    অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমস্যা সমাধানে বিরোধীদলীয় নেতাকে ফোন করে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। আমার আমন্ত্রণে বিরোধীদলীয় নেতা হরতাল প্রত্যাহার করেননি, আলোচনাতেও আসেননি। বরং বিএনপি-জামায়াত-হেফাজত আজ এক হয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার বন্ধ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন খালেদা জিয়াকে দেয়া দাওয়াতের পথ এখন অনেকটাই রুদ্ধ হয়ে গেছে। এখন তারা অনেকেই দাওয়াতের পথ থেকে সরে এসে দেশের মুসলমানদেরকে আস্তিক ও নাস্তিকে বিভাজন করার খেলায় মেতে উঠেছেন।
    খতিব, ইমাম ও ওলামা-মাশায়েখদের প্রতি শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, ইসলামের প্রচার-প্রসারে আলেম-ওলামাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আলেম-ওলামারা ওয়ারেসাতুল আম্বিয়া হিসাবে যুগ যুগ ধরে এ দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সমাজে কোনো অসঙ্গতি দেখলে আলেম-ওলামারা মানুষকে হেদায়েতের পথে আহ্বান করতেন। তিনি বলেন, আর যেন বাংলাদেশে কোরআন শরীফের আবমাননা না হয়, এজন্য আপনাদের সহায়তা চাই। ধর্মের সঙ্গে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই। যারা ধর্মকে ব্যবহার করে জঙ্গিবাদ করে তারা ধর্মের শত্র“। জঙ্গিবাদ মানে ইসলাম নয়। আমরা সুন্দরভাবে উন্নত দেশ গড়ে তুলতে চাই। জনগণের উন্নয়ন চাই। আমি প্রধানমন্ত্রী চাই না। জনগণ চাইলে ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বানাবে আর না চাইলে না বানাবে।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত-হেফাজত এক হয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার বন্ধ করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করা আমরা মনে করি মানব কল্যাণেই এটা করা উচিৎ। অথচ সেই বিচার যখন হচ্ছে তখন সেই অপরাধীদের রক্ষা করার নামে উল্টো আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানো হচ্ছে।
    আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ইসলামের ব্যাপক প্রচার হয়েছে। আমি নিজেও প্রতিদিন সকালে উঠে নামাজ পড়ে  কোরআন তেলাওয়াত করে আমার কাজকর্ম শুরু করি। এরপরেও যারা বলে আমরা নাকি ইসলামের শত্র“, আমার বাপ-দাদারা ইসলামের নয়, তখন খুব কষ্ট পাই। আমি আমার বাপ-দাদার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ দিতে পারবো। তাদের মধ্যে কেউ অন্য ধর্মের নয়।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা গাড়িতে আগুন দিয়ে গায়ে পেট্রোল দিয়ে মানুষ খুন করছে। তারা দেশের মানুষকে শান্তিকে থাকতে দেবে না। এটা সহ্য হয় না। প্রধানমন্ত্রী জানান, কওমি মাদরাসা শিক্ষিতদের কল্যাণে তিনি কিছু করতে চান। কিন্তু কিছু লোক না বুঝেই এর বিরোধিতা করছেন।