মানব পতাকা তৈরি করে গিনেজ বুকে রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশ

    0
    232

    আমারসিলেট24ডটকম,১ডিসেম্বরঃ ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী ও তাদের দেশীয় দোসরদের   পরাজিত করে স্বাধীনতা লাভ করে আমাদের এই মাতৃভূমি বাংলাদেশ। আজ ১৬ ডিসেম্বর আবারো পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে সৃষ্টি করলো মানব পতাকার বিশ্ব রেকর্ড। বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় “মানব পতাকা” তৈরি করে গিনেজ বুকে রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশ। জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে তৈরি করা পৃথিবীর দীর্ঘ মানব পতাকা তৈরিতে অংশগ্রহণ করেন ২৭ হাজার ১১৭ জন সেচ্ছাসেবি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় এর আয়োজন করে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় মোবাইল ফোন অপারেটর রবি। সোমবার দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে শের-ই-বাংলা নগরে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে এ মানব পতাকা তৈরি করা হয়। এ মানব পতাকা তৈরিতে সহযোগিতা করেছে মোবাইল অপারেটর কোম্পানি রবি।
    এ মানব পতাকা তৈরি করতে মোট ৩০ হাজার মানুষ ব্যবহার করা হয়। যার মধ্যে শুধু সশস্ত্র বাহিনীর ৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবী ছিল। যারা মূলত পতাকার লাল অংশটুকুর রূপ দেয়। আর বাকি ২২ হাজার সদস্য রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষদের দিয়ে পূরণ করা হয়। যারা মূলত পতাকার সবুজ অংশের রূপ দেয়।
    সোমবার সকাল থেকে এ মানব পতাকার চূড়ান্ত রূপ দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। খুবই ভোর থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য ও রবির সদস্যরা প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রবেশ করে। অবশ্য সকাল পৌনে ৮টা পর্যন্ত ভেতরে কোনও সাধারণ জনগণকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। পৌনে ৮টার দিকে সাধারণ দর্শকদের প্রবেশ কতে দেয়া হলেও সেটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৯টা ১০ মিনিটের মধ্যে সবাইকে প্যারেড গ্রাউন্ড থেকে বের করে দেয়া হয়।
    ফলে সাধারণ জনগণের মধ্যে ক্ষোভ দেখা যায়। এ সময় তারা প্রধান সড়কে দাঁড়িয়ে ভেতরে প্রবেশ করার জন্য স্লোগান দেয়।
    বেলা ৯টার দিকে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল থেকে শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত বাসে প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রবেশ করতে থাকে। বেলা ১২টা পর্যন্ত চলে পতাকা তৈরির প্রস্তুতি। এরপর মানব পতাকার চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার জন্য সবাইকে নির্ধারিত স্থানে পাঠানো হয়। সবার হাতে ছিল ভিন্ন প্লাকার্ড।
    মানব পতাকা তৈরির জন্য প্যারেড গ্রাউন্ডে নির্দিষ্ট মাপের মধ্যে সাদা চুন দিয়ে ত্রিশ হাজার ছোট ছোট ঘর করে দাগ দেয়া হয়েছে। প্রত্যেক ঘরে একজন করে নির্দিষ্ট রংয়ের প্লাকার্ড নিয়ে দাঁড়ায়।
    এরপর এ কার্যক্রমের সমন্বয়ক নির্দেশ দেয়ার পর সবাই একসঙ্গে তাদের হাতে থাকা প্লাকার্ডটি মাথার ওপর তুলে ধরবে। প্রায় ৫ মিনিট প্লাকার্ডটি মাথার ওপর ধরে রাখতে হয়। উপর থেকে যখন নিচের দিকে দেখা হয় তখন এগুলো বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার রূপ নেয়। ৫ মিনিট পরেই সবাইকে যথাযথ স্থানে প্লাকার্ড জমা দিয়ে প্যারেড গ্রাউন্ড ছাড়তে বলা হয়।
    প্রসঙ্গত, এর আগে পাকিস্তানের লাহোর জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে পাঞ্জাব ইয়ুথ ফেস্টিভালে ২৪ হাজার ২০০ লোকের অংশগ্রহণে সবচেয়ে বড় মানব জাতীয় পতাকা তৈরির রেকর্ড ছিল। সুতরাং বিজয়ের মাসে আবারও পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে এক ধাপ এগিয়ে গেল  সোনার বাংলাদেশ।