মানবাধিকার সংস্থার মহাসচিবের ৫ লাখ পাউন্ড আত্মসাৎ!

    0
    224

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,৩০অক্টোবরঃএবার ফাঁস হয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এমনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের। সংস্থাটির সাবেক মহাসচিব বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আইরিন খান প্রতিষ্ঠানের ৫ লাখ পাউন্ড আত্মসাৎ করেছিলেন বলে খবর বেরিয়েছে। ২০০৯ সালে যখন তার চাকরির মেয়াদ শেষ হয় তখন অবৈধভাবে সংস্থাটির ৫ লাখ ৩৩ হাজার ১০৩ পাউন্ড পকেটস্থ করেছিলেন তিনি; যা তার মূল বেতনের ৪ গুণ।

    অথচ ওই সময় তার বার্ষিক বেতন ছিলো ১ লাখ ৩২ হাজার পাউন্ড। সম্প্রতি তার এ কেলেঙ্কারির খবর ছাপা হয়, ব্রিটেনের দি এক্সপ্রেস ইউকে, ডেইলি মেইল, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমসহ বিশ্বের প্রথম সারির আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে।
    বিশ্বের প্রথম নারী, প্রথম এশীয় বংশোদ্ভূত এবং প্রথম মুসলিম হিসেবে আইরিন খান এমনেস্টি ইন্টারন্যাশনের মহাসচিবের দায়িত্ব গ্রহণ করেন ২০০১ সালে। এরপর ২০০৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি সংস্থায় দায়িত্ব পালন করেন। তার অর্থ নয়-ছয়ের এ বিষয়টি প্রথম ধরা পড়ে ২০১০ সালের ৩১ মার্চ প্রকাশিত এমনেস্টির বার্ষিক অর্থনৈতিক বিবৃতিতে।

    শুধু আইরিন খানই নয়, ওই সময় তার অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী এমনেস্টির সহকারী মহাসচিব কেট গিলমোরও সংস্থার ৩ লাখ পাউন্ড আত্মসাৎ করেন।
    এক্সপ্রেস.ইউকে জানায়, এমনেস্টি থেকে ওই অর্থ আত্মসাতের মাত্র ৭ মাস আগেই এমনেস্টির দরিদ্র তহবিলে অনুদান দেয়ার প্রচারণা শুরু করেছিলেন তিনি।

    এ পরিস্থিতিতে সংস্থার বিপুল পরিমাণ অর্থ গ্রহণের বিষয়টি তখন ব্রিটেনে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় তোলে। ব্রিটেনের রক্ষণশীল দলের তৎকালীন পার্লামেন্ট সদস্য ফিলিপ ডেভিস ওই সময় এমনেস্টি ইন্টারন্যাশনালকে ব্যঙ্গ করে মোটা বেড়াল বলেও অভিহিত করেন।

    তিনি বলেন, মানুষ এমনেস্টিকে যখন অর্থ সহায়তা দেয় তখন তারা ভাবে এই অর্থ দরিদ্রদের কাজে লাগবে। তারা এ রকম একটি মোটা বেড়ালকে অনুদান দেয়ার কথা স্বপ্নেও ভাবেন না।
    এ ঘটনায় তখন ব্রিটেনের রাজনৈতিক মহলসহ আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। আইরিন খান ছাড়াও সংস্থাটির বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তার নামেও একই ধরনের কেলেঙ্কারির খবর ছাপা হয় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।

    আইরিন খানসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের এসব অপকর্মের ফলে ব্যাপক ইমেজ সঙ্কটে পড়ে এমনেস্টি। ব্যাপক সমালোচনার শিকার হন আইরিন খান নিজেও।

    সংস্থাটির তহবিলে নিয়মিত অর্থ প্রদানকারী একজন এক্সপ্রেস.ইউকে জানান, বিশ্বে মানবাধিকারের ব্যাপারে বড় বড় লেকচার দিয়ে এ নারী কিভাবে নিজেই বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করতে পারেন।সুত্রঃ ওয়েবসাইট