মানবতাবিরোধী অপরাধে কাল কামারুজ্জামানের চূড়ান্ত রায়

    0
    211

    আমারসিলেট24ডটকম,০২নভেম্বরঃ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের করা আপিলের রায় সোমবার ঘোষণা করা হবে। এজন্য মামলাটি আপিল বিভাগের কার্যতালিকার এক নম্বরে রাখা হয়েছে।

    গত ১৭ সেপ্টেম্বর উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ রায় ঘোষণা অপেক্ষমাণ রাখেন।

    আপিল বিভাগের রায়ে কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকবে বলে আশা করছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী এসএম শাহজাহান সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ তাদের সাক্ষ্যপ্রমাণ দিয়ে কোনো অভিযোগ নির্ভরযোগ্যভাবে প্রমাণ করতে পারেনি। আপিলের রায়ে কামারুজ্জামান খালাস পাবেন।

    গত বছরের ৯ মে মৃত্যুদণ্ড দেয় যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ওই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে গত বছরের ৬ জুন আপিল করেন কামারুজ্জামান।

    গত ৫ জুন এ বিষয়ে শুনানি শুরু হয়। এরপর উভয়পক্ষের শুনানি শেষে  গত ৯ সেপ্টেম্বর কামারুজ্জামানের পক্ষে আপিলে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন তার আইনজীবীরা। তার পক্ষে শুনানি করেন এস এম শাহজাহান। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট শিশির মো. মুনির। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

    ট্রাইব্যুনাল-২ এর রায়ে কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে আনীত সাতটি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। শেরপুরের সোহাগপুরে ১৬৪ জন নিরস্ত্র নাগরিককে হত্যা ও নারী ধর্ষণ এবং গোলাম মোস্তফা নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।

    এছাড়া বদিউজ্জামানকে অপহরণ করে নির্যাতন এবং অতপর হত্যা এবং ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে অপর ছয় ব্যক্তিকে বেয়নেট খুঁচিয়ে হত্যার দায়ে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।

    অধ্যক্ষ সৈয়দ আবদুল হান্নান নামে এক ব্যক্তিকে নির্যাতনের অপর ঘটনায় কামারুজ্জামানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

    এদিকে লিয়াকতসহ আটজনকে হত্য এবং অপর আরেকটি ঘটনায় টুনু নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে না পারায় এ দুটি অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেয়া হয়।

    প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ২৯ জুলাই কামারুজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয়। ২ আগস্ট তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার দেখানো হয়। গত বছরের ৪ জুন এই ট্রাইব্যুনাল কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি অভিযোগ গঠন করেন

    এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ। রায়ে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

    এর আগে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর জামায়াতের আরেক নেতা আব্দুল কাদের মোল্লাকে ফাঁসির আদেশ দেন আপিল বিভাগ। পরে তা কার্যকরও করা হয়।

    এদিকে আপিলে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদসহ কয়েকটি মামলা।