মাধবপুরে পরকীয়ায় আক্রান্ত গৃহবধুর পলায়নঃপ্রেমিক শ্রীঘরে  

    0
    255

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,এপ্রিল,ফারুক মিয়াঃ মাধবপুর উপজেলার শাহপুর গ্রামে বিয়ের ১০ মাসের মাথায় পূর্ব প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে গেছে এক গৃহবধু। ঘটনার ১৫ দিনেও ওই গৃহবধুর কোন সন্ধান না পেয়ে চুনারুঘাট থানায় জিডি এন্ট্রি করেছেন স্বামী প্রণয় চন্দ্র শীল।

    জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, গত ১০ মাস পূর্বে তিনি মাধবপুর উপজেলার শাহপুর গ্রামের ৯নং নোয়াপাড়া ইউনিয়নের সুভাস চন্দ্র শীলের রূপসী কন্যা সুমা রানী শীল (২২) কে বিয়ে করেন। গত ১৪ এপ্রিল এ ঘটনার প্রেমিক জুটিকে শ্রীমঙ্গল থেকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব-৯ এর একটি টিম। পরে মাধবপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে এবং সুমা রানী শীল বাদী হয়ে প্রেমিক পিন্টু চন্দ্র দাসের উপর একটি নারী নির্যাতন মামলা দিয়ে হবিগঞ্জ আদালতে পাটিয়েছেন। সুমা রানী শীল ওই দিন সকলে অগোচরে একই উপজেলার ৯নং নোয়াপাড়া ইউনিয়নের পিন্টু চন্দ্র দাস এক সন্তানের পিতার সাথে পরকীয়ায় আক্রান্ত হয়ে পালিয়ে যায়। পিন্টু চন্দ্র দাসের সাথে পালিয়ে যাবার পর থেকে তা শ্বশুর বাড়ির লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজি করেও তাকে উদ্ধার করতে পারেননি।

    অপর একটি সূত্রে জানা যায়, পিন্টুর সাথে বিয়ের পূর্ব থেকেই ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। কিন্তু প্রণয় চন্দ্র শীল এ বিয়েতে প্রথম থেকেই তার বিপত্তি ছিল বলে জানা যায়। তিনি জানান যে, দুবাই প্রবাসী প্রণয় চন্দ্র শীল (২৭) এর সাথে ১০ মাস পূর্বে সুমা রানী শীলের বিয়ে হয়। স্বামী দুবাই চলে যাওয়ার সুবাদে সুমা পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ে। প্রবাসী স্বামী সুমাকে মাধবপুর সৈয়দ সঈদউদ্দীন ডিগ্রি কলেজে লেখাপড়ার জন্য রেখেছিল তার বাবার বাড়িতে। সুমা রানী একজন ভাল ছাত্রী ছিল। সামনে এইচ.এস.সি ফাইনাল পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিল। তার স্বামী দুবাই প্রবাসীর আশা ছিল সে একজন ভাল শিক্ষিকা হবে।তা না হয়ে প্রেমের টানে চলে গেল অন্য আরেক প্রেমিকের হাত ধরে।

    এ ঘটনায় প্রবাসী স্বামী প্রণয় অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হন। তার স্ত্রীকে দেয়া বিদেশী কাপড় ও স্বর্ণালংকার অনুমান প্রায় ৫/৬ লক্ষাধিক টাকার জিনিসপত্র নিয়ে আত্মগোপন করে পালিয়ে যায় প্রেমিকের হাত ধরে। পরে সুমা রানী শীলের পিতা সুভাস চন্দ্র শলি তার মেয়ের পরকীয়া প্রেমের ঘটনাটি তাদের মধ্যে জানাজানি হলে তড়িৎগতিতে তিনি সুবিধামত ৮/৪/১৫ তারিখে মাধবপুর থানায় হাজির হয়ে সাধারন ডায়েরী করেন। সুমা রানী, পিতা- সুভাস চন্দ্র শীল বাদী হয়ে দরখাস্তের বিবরণে জানা যায়, আমার মেয়েটিকে কে বা কারা অপহরণ করেছে বলে জিডিতে উল্লেখ করেন।

    এর পরেই মাধবপুর থানায় মেয়েটির খবর পাওয়া গেছে মর্মে তার পিতাকে খবর দেয়া হয়। পরে মাধবপুর থানায় হাজির হলে সুমা রানীর পিতা তখন প্রেমিক জুটিকে মাধবপুর থানার জেল কারা ঘরে পুলিশ রেখেছে। পরে পরকীয়া প্রেমিক পিন্টুকে একটি নারী নির্যাতন মামলা দিয়ে হবিগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

    পরকীয়া প্রেমিক জুটির পলায়নের ঘটনা সুমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন এ ঘটনার কথা মোবাইল ফোনে জানাজানি হলে খবর পেয়ে ওই সুমার বাড়িতে তারা চলে আসেন। ডুবাই প্রবাসী প্রণয় চন্দ্র শীলের আত্মীয়-স্বজনরা সুমার বাড়িতে সরেজমিনে এসে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদেরকে বিষয়টি অবগত করলে তারা ঘটনার কথা স্বীকার করে বলেন করার কিছু নেই। যা হবার তা হয়ে গেছে তা আমাদের কপালে ছিল। বিষয়টি আমাকে কিছুদিন সময় দিতে হইবে।

    সুমা রানীর পিতা সুভাস চন্দ্র শীল জানান, অদ্য দিকে বিপাকে পড়ে আছেন প্রণয় চন্দ্র শীলের আত্মীয়-স্বজনরা। জানা যায়, চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের রূপসপুর গ্রামের ক্ষিতিশ চন্দ্র শীলের পুত্র দুবাই প্রবাসী প্রণয় চন্দ্র শীল (২৭) এর সাথে ১০ মাস পূর্বে বিয়ে হয়। অপরদিকে সুমা রানীর ঠিকানা এখন চিরস্থায়ী পিতার বাড়িতে। শেষে প্রেমিক এক সন্তানের পিতা পিন্টুর ঠিকানা হল হবিগঞ্জ শ্রীঘরে।