মাদক ব্যবসার কারণে এক নারীকে আটক করেছে জনতা

    0
    266

    আমার সিলেট  24 ডটকম,অক্টোবর,জসীম উদ্দিন ভোলা থেকেঃ ভোলার বোররহান উদ্দিন থানার মাদক সম্রাজ্ঞী রাবেয়া আকতার নামে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় জনতা হাতে নাতে এক নারীকে পাকড়াও করে বোরহান উদ্দিন থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয় বলে এই প্রতিবেদক জানান। প্রতিবেদকের ভাষ্য অনুযায়ী,মাদক সম্রাজ্ঞী রাবেয়া আকতার দীঘর্দিন যাবৎ ভোলার বোরহান উদ্দিন থানার বিভিন্ন স্থানে আইন-শৃঙ্খলার তোয়াক্কা না করে প্রশাসনের নাকের ডগায় ইয়াবা, মদ, গাজা, ফেন্সিডিলসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক সামগ্রী সরবরাহ করে আসছিল। তার এ ব্যবসার সাথে স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকার কিছু প্রভাবশালী মহল জড়িত থাকার প্রমান রয়েছে। প্রতিদিন দিনে দুপুরে কিংবা রাতে তার বাড়ীতে মদ ফেন্সিডিল ও গাজাসহ নানা অসামাজিক কাজের আসর বসতো। দুরদুরান্ত থেকে জানা অজানা অনেক লোকের সমাগম ঘটত এই মাদক সম্রাজ্ঞীর আস্তানায়। কেউবা সুধা পান করার জন্য কেউবা মাদকের চালান সরবরাহ নেয়ার জন্য। এমনকি তার আস্তানায় অনেক রাগব-বোয়ালদের আনাগোনা চলতো হর-হামেশা। ক্রমান্নয়ে তার কাজীর হাটস্থ বসত বাড়ীটি হয়ে উঠেছিল মাদক দ্রব্য সরবরাহের নিরাপদ একটা স্বর্গ রাজ্য। স্থানীয় টিন-এজ ও যুব সমাজের বিরাট একটা অংশ ধীরে ধীরে মাদক সেবনে ঝুকে পড়েছিল। প্রতি রাতে মাদকের আসরের মাধ্যমে সে এক অদ্ভুত প্রতারনা ও ছলনার ফাঁদ বসাতো। দুর-দুরান্ত থেকে আগত মাদক সেবীদের অনেকেই তার দ্বারা প্রতারিত হয়ে টাকা-পয়সা, মোবাইল, গয়না-ঘাটি খুইয়ে অপমানিত হয়ে সর্ব শান্ত হয়ে ঘরে ফিরত। প্রতারনার ফাঁদ পেতে অনেকের কাছ থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা
    অংকের টাকা-পয়সা আদায় করতো সে। ভয়ে কিংবা মান-সম্মানের কারনে অনেকে সেসব চেপে যাচ্ছেন। স্থানীয় উঠতি বয়সের ছেলেরা গোপনে বা প্রকাশ্যে তার এ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ে। সমাজের একটা প্রভাবশালী মহলকে নানা টোপ দিয়ে
    ধীরে ধীরে তার পক্ষে আকৃষ্ট করে রাখার কারনে প্রকাশ্যে ও ডেম কেয়ার ভাবে তার এরকম মাদকের ব্যবসা চললেও প্রতিবাদ করার সাহস পেতনা কেউই। অল্পবিস্তর কেউ প্রতিবাদ করলেও প্রশাসন ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের দ্বারা সে তাদের নাজেহাল করে ছেড়ে দিতেন। প্রশাসনের উপর মহল পযর্ন্ত তার হাত, ফলে ভয়ে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতনা কেউই।
    তার মাদকের বিস্তৃতি ক্রমান্নয়ে সবর্গ্রাসী হয়ে উঠে অত্র অঞ্চল জুড়ে। ইতিমধ্যে লোকজন কথা বলতে শুরু করে। আবার অনেকে ভয়ে চুপষে যেতে থাকে। কেউবা স্বার্থের অশায় চুপ থাকে। আজ শুক্রবার বাদ জুম্মা এবিষয়ে একদল সচেতন তরুন মুখ খুললে কাজীর হাট এলাকার স্থানীয় মুরুব্বীগণ, মিসজিদের ইমাম, মুসল্লী ও স্থানীয় জনপ্রতি, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও গন্যমান্য
    ব্যাক্তিগণ এগিয়ে আসেন। তাঁরা এলাকায় এরূপ অনৈতিক কাজ হতে না দেয়ার অঙ্গিকার করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। সমাবেশ শেষে স্থানীয় কয়েকজন জনপ্রতিনিধি ও গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ মিলে মাদক সম্রাজ্ঞী রাবেয়া আকতারের বাড়ীতে যান তাকে বুঝিয়ে উক্ত অনৈতিক কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য। কিন্ত রাবেয়া তাঁদের কথায় কনর্পাত না করে উল্টা সবাইকে দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে
    ওঠেন এবং সমবেত জনপ্রতিনিধিদের শাসাতে শুরু করেন। তর্ক বিতর্কের এক পযার্য়ে সে তাদের প্রতি তেড়ে আসে, খবর পেয়ে উত্তেজিত হাজার হাজার জনতা তার বাড়ী ঘেড়াও করে ও ভাংচুর শুরু করে।অবস্থা বেগতিক দেখে এক পযার্য়ে সে
    পালিয়ে গিয়ে পাশের বাড়ীর সিন্দুকের মধ্যে আত্ম গোপন করে।পরে জনতা সেখান থেকে বের করে এনে তাকে ঘেড়াও করে রাখে। এসময় তার বাড়ীর আশ পাশ থেকে ফেন্সিডিলের প্রচুর খালি বোতলসহ মাদকের অনেক আলামত উদ্ধার করে জনতা। এরপর
    থানায় খবর দিলে বোরহান উদ্দিন থানার ওসি নিজে উপস্থিত হয়ে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যান। এসময় তার কাছ থেকে ইয়াবা সহ বেশ কিছু ফেন্সিডিলও উদ্বার করা হয়।

    স্থানীয় লোকজনের আশঙ্কা অর্থ ও বাহুর বলে সে থানা পুলিশকে পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে আসবে ও দোর্দান্ড প্রতাপে পুনরায় মাদক ব্যবসা শুরু করবে। বতর্মানে ভোলা জেলার সবর্ত্র মাদকের ছড়াছড়ি। এসব ব্যবসার সাথে সমাজের উপর মহলের হাত রয়েছে। প্রশাসনের লোকজনও তা থেকে মাশোহারা পেয়ে থাকেন নিয়মিত । রাবেয়া আক্তারের ক্ষেত্রেও একই  অভিযোগ। তাই এলাকা বাসীর দাবী রাবেয়া ও তার গডফাদারদের এখনই আটকাতে না পারলে অচিরেই ভোলার মতো একটা সুন্দর জেলা এক অভিশপ্ত জেলা হিসাবে আত্নপ্রকাশ করবে। রাবেয়াকে ছাড়িয়ে নেবার জন্য একটা বিশেষ মহল তদবির শুরু করেছে।