মাদকাসক্তির কারণেই দুবাই শাসকের ছেলের মৃত্যু !

    0
    389

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৩সেপ্টেম্বর :দুবাইয়ে আমির এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রাশিদ আল মাখদুমের বড় ছেলে মাদক আসক্তির কারণে অকালে মারা গেছেন বলে কোনো কোনো খবরে দাবি করা হয়েছে।  তার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশটিতে  মাদক ব্যবহার এবং যৌন পার্টি দেয়ার বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় চলে এসেছে।গত শুক্রবার মাত্র ৩৩ বছর বয়সে মারা যান শেখ রাশিদ বিন মোহাম্মদ বিন রাশিদ আল মাখদুম।  হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা গেছেন বলে আনুষ্ঠানিক ভাবে জানানো হয়েছে।

    কিন্তু সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, মাদক এবং যৌন শক্তি বর্ধক স্টেরয়েডে আসক্ত ছিলেন এ যুবক।  অবশ্য আসক্তি থেকে মুক্ত করার জন্য একাধিকবার তাকে অনেক মাদক পুনর্বাসন কেন্দ্রেও পাঠানো হয়েছে।

    অবশ্য, আরব দেশগুলোর অভিজাত সমাজে এ জাতীয় আসক্তি নতুন কিছু নয় । রাজপরিবার এবং অভিজাত সমাজে এ জাতীয় প্রবণতা অনেক দিন ধরেই চলে আসছে।ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, শেখ রাশিদের অকাল মৃত্যু অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে যার উত্তর পাওয়া যায় নি। দুবাইয়ের শাসকের এ উচ্ছৃঙ্খল ছেলেকে গত কয়েক বছর ধরে আর প্রকাশ্য দেখা যায় নি। ২০০৮ সালে তাকে দুবাইয়ে যুবরাজের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয় তাকে।  আর এ পদে অভিষিক্ত করা হয় তার তৃতীয় ভাই ৩১ বছর বয়সি শেষ মাখদুম বিন মোহাম্মদ আল মাখুদমকে।

    এ সংক্রান্ত একটি গোপন বার্তা পাঠিয়েছিলেন মার্কিন ভারপ্রাপ্ত কনসাল জেনারেল ডেভিড উইলিয়ামস। তাতে দুবাই শাসকের জাবিল প্রাসাদের অভ্যন্তরীণ চিত্র প্রকাশ পেয়েছে। এতে বলা হয়েছে, দুবাই শাসকের এক সহযোগীকে হত্যা করেছিলেন এই উচ্ছৃঙ্খল ছেলে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যুবরাজের দায়িত্ব থেকে  সরিয়ে দেয়া হয় তাকে। অনুসন্ধানী ওয়েবসাইট উইকিলিকস মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের যে সব গোপন বার্তা ফাঁস করে দিয়েছে তা থেকে এটি জানা গেছে। অবশ্য নিহত ব্যক্তির নাম এতে প্রকাশ করা  হয় নি।

    এ ছাড়া, একই সময়ে পাঠানো মার্কিন আরেক গোপন বার্তায় বলা হয়েছে, সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে সে সময়ে গোপনে যৌন এবং মাদক পার্টির আয়োজন অহরহ চলছে। মার্কিন কনস্যুল জেনারেল মার্টিন কুইনের লেখা এ বার্তায় আরো বলা হয়েছে,  ধনকুবের পরিবারের সন্তান এবং রাজপুত্ররাই কেবল এ জাতীয় পার্টির আয়োজন করতেন। রাজপুত্র এবং অভিজাত পরিবারের সন্তানদের মনোরঞ্জনের জন্য দেয়া এ সব পার্টিতে কোকেন এবং হাশিশের  অঢেল সরবরাহ থাকতো।

    আর এ সব পার্টিতে সম্মানিত অতিথির পদ অলংকৃত করতেন রশিদসহ আমিরাতের অনেক রাজপুত্র।অবশ্য রাশিদের মাদক আসক্তি এবং যৌন জীবন নিয়ে প্রকাশিক খবরের বিষয়ে কখনোই মন্তব্য করেনি জাবিল প্রাসাদ। ইরনা