মহামান্য রাষ্ট্রপতি এক পলক দেখতে উৎসুক জনতার ভিড়

    0
    267

    “ভাল মানুষ কে দেখতে কার না ভাল লাগে।তার পরও তিনি আমাদের এলাকায় এসে আমাদের জন্য স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছেন।সব কিছুর পরেও তিনি রাষ্ট্রপতি তাও আবার আমাদের দুঃখের দিনে দুঃখের অংশিদার হতে আমাদের পাশে দাড়িয়েছেন”

    আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,১৯এপ্রিল,জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া,তাহিরপুর(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জে মাহামান্য রাষ্ট্রপতির আগমনের পুরো শহরে কঠোর নিরাপত্তার বেষ্টনিতে ঘিরে রাখে আইনশৃংখলা বাহির্নীর সকল স্তরের সদস্যরা। শহরের প্রতিটি পয়েন্টে মোতায়েন করা হয় র‌্যাব,পুলিশ,ডিবি সহ সকল স্তরের সদস্যদের। জেলার ওয়েজখালি থেকে ট্রাফিক পয়েন্ট,জাদুঘর ও জেলা শিল্পকলা একাডেমি পর্যন্ত নিরাপাত্তার স্বার্থে বেলা বাড়ার সাথে সাথেই বাড়তে থাকে বিভিন্ন সড়কে কঠোর নজর দারী। সব ধরনের দোকাপাট ও যানবাহন বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেনাবাহিনীর ডগর্কোয়াড়ের দল রাষ্ট্রপতির আগমনে জেলার ওয়েজখালি থেকে ট্রাফিক পয়েন্ট,জাদুঘর ও জেলা শিল্পকলা একাডেমি পর্যন্ত হাপল নিরাপাত্তার স্বার্থে চেক করেন।

    বেলা বাড়ার সাথে সাথেই বাড়তে থাকে বিভিন্ন সড়কে কঠোর নজর দারী। রাষ্ট্রপতির আগমনের খবর শুনেই জেলা বিভিন্ন উপজেলার হাওর পাড়ে হাজার হাজার জনতার ঢল নামতে শুরু করে সুনামগঞ্জ শহরে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে সাংবাদিক,মুক্তিযোদ্ধা,বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংঘটনের নেতাকর্মী  সহ সাধরন জনসাধারনের ঢল। আর জনতার ঢল সামাল দিতে হিমসিম কায় আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। কিন্তু নিরাপত্তার স্বার্থে পাস র্কাড ছাড়া কাউকেই নির্ধারীত সীমানার ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় নি। তার পরেও পচন্ড রৌদ উপেক্ষা করে ঘন্টার পর ঘন্টা সীমানর বাহিরে দাড়িয়ে অপেক্ষা করে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এডভোকেট মোঃ আব্দুল হামিদ কে এক নজর দেখার জন্য সর্বস্থারের জনসাধারন। ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষার পর দুপুরের পরে হেলিকাপ্টারে চরে সুনামগঞ্জ পুলিশ লাইনে আসেন রাষ্ট্রপতি এডভোকেট মোঃ আব্দুল হামিদ। এসময় পুলিশ লাইনের চার পাশে ঘিরে রাখে সেনাবাহিনী সহ নিরাপ্তায় নিয়োজিতরা।

    পুলিশ লাইন থেকে সরাসরি চলে যান সুনামগঞ্জ সার্কিট হাউজে। যাবার সময় রাস্তার দু-পাশে দাড়িয়ে থেকে শুভেচ্ছা জানান হাজার হাজার জনতা। রাষ্ট্রপতি এডভোকেট মোঃ আব্দুল হামিদ কে দেখতে আসা লোকজন জানান,রাষ্ট্রপতি এডভোকেট মোঃ আব্দুল হামিদ হাওর পাড়ের সন্তান। তিনি কৃষকের সন্তান আমাদের দুঃখের সময় আমাদের কাছে এসেছেন আমরা সকল দুঃখ ভুলে গেছি। তিনি আমাদের দেখতে যখন এসেছেন আমা্দের জন্য অব্যশই কিছু করবেন আমরা আশা করি। তাই তাকে দেখার জন্যই সকাল থেকে দাড়িয়ে আছি।

    ভাল মানুষ কে দেখতে কার না ভাল লাগে। তার পরও তিনি আমাদের এলাকায় এসে আমাদের জন্য স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। সব কিছুর পরেও তিনি রাষ্ট্রপতি তাও আবার আমাদের দুঃখের দিনে দুঃখের অংশিদার হতে আমাদের পাশে দাড়িয়েছেন।