মর্মস্পর্শী ৭১’র পরিচালক ফাগুনের সাক্ষাৎকার

    0
    256

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৫মার্চ,মতিউর রহমান মুন্নাঃ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শিশুতোষ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র মর্মস্পর্শী ৭১ এর পরিচালক কিশোর নির্মাতা ইফতেখার আহমেদ ফাগুন বলছেন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি নির্মান করতে গিয়ে তার অভিজ্ঞতা ও ক্যামেরার পিছনের কথা !

    সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাংবাদিক ইকবাল হোছাইন গালিব

    গালিবঃকেমন আছেন ?

    পরিচালকঃএইতো ভাল।
    গালিবঃমর্মস্পর্শী ৭১ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি মূলত কি ভাবনা থেকে নির্মান করেছেন ?
    চলচ্চিত্রটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শিশুতোষ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। আমাদের প্রজন্মের শিশু কিশোরকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উৎসাহী করতেই নির্মান করা হয়েছে এ চলচ্চিত্র। উল্লেখযোগ্য হাতেগোণা কয়েকটি শিশুতোষ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র এপর্যন্ত নির্মিত হয়েছে। নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধকে আরও ভালভাবে জানতে চায় ! সে অভাববোধ কিছুটা হলেও যদি পূরণ করতে পারি তাই এ চলচ্চিত্রটি করা হয়েছে।
    গালিবঃচলচ্চিত্রটি তৈরি করতে আপনার ইউনিট থেকে কেমন সাড়া পেয়েছেন ?

    পরিচালকঃসমর্পন প্রোডাকশনের প্রত্যেকটি সদস্য কাজের প্রতি আন্তরিক ছিলেন। গল্পকার সাইফুদ্দিন জাবেদ স্বল্পসময়ে বড় একটা ক্যানভাসকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। এছাড়া প্রযোজক মোতাচ্ছিরুল ইসলাম ও সহকারি পরিচালক তানভীরুল ইসলামসহ সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে তাদের ভালটুকু দেয়ার চেষ্টা করেছেন।
    গালিবঃচলচ্চিত্রটির চিত্রায়ন, সম্পাদনা এসব নিয়ে জানতে চাচ্ছি ?

    পরিচালকঃ গল্প থেকে চিত্রনাট্য তৈরির কাজ শেষে আমরা গত ৬ ডিসেম্বর প্রি প্রোডাকশনের কাজ শুরু করি। ৬ ডিসেম্বর তারিখটা আমি উল্লেখ করছি কারণ আমরা যে শহরটাতে চিত্রায়ন করেছি অর্থাৎ হবিগঞ্জ ১৯৭১ সালের এই দিনে শত্রুমুক্ত হয়। যাই হোক দৃশ্যগুলোর লোকেশন দেখে সবকিছু ঠিকঠাক করে চিত্রায়ন শুরু করি। প্রথমদিন শ্যুটিং এ সবাই বেশ উৎফুল্ল ছিল। পরবর্তীতেও সেই উদ্যোমটা ছিল। তবে হ্যাঁ নতুন হিসেবে টেকনিক্যাল কিছু সমস্যা পোহাতে হয়েছে আমাদের। তাই নির্ধারত সময়ে চিত্রায়ন শেষ করতে পারিনি। কিছু দৃশ্য রিটেক করতে হয়েছে। শ্যুটিং চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশ পুলিশ প্রশাসন ও হবিগঞ্জের বৃন্দাবন সরকারি কলেজ বিএনসিসি প্লাটুন সহ এলাকাবাসীদের কাছ থেকে সহায়তা পেয়েছি। চিত্রায়ন শেষে পোষ্ট প্রোডাকশনের কাজগুলো সম্পন্ন করা হয়। এবং গত ২২ জানুয়ারী চলচ্চিত্রটি মুক্তি দিতে পেরেছি আমরা।
    গালিবঃমর্মস্পর্শী ৭১ এর প্রদর্শনী কোথায় কিভাবে আয়োজন করা হচ্ছে ?

    পরিচালকঃ সমর্পনের আয়োজনে গত ২২ জানুয়ারী হবিগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে মুক্তি দেয়া হয় চলচ্চিত্রটি। এছাড়া ঢাকায় গত অষ্টম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হয় চলচ্চিত্রটির। ইতিমধ্যে সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে আঞ্চলিক প্রিমিয়ার সহ স্থানীয় উদ্যোক্তা ও সংগঠকদের আয়োজনে বিভিন্ন জায়গায় প্রদর্শনী হচ্ছে। আগামী ২৭ ও ২৮ জানুয়ারী কুষ্টিয়া ফিল্ম সোসাইটির আয়োজনে কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে স্বাধীনতা দিবস চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হবে মর্মস্পর্শী ৭১।
    গালিবঃআগামীতে আরও কি কি কাজ করার পরিকল্পনা আছে ?

    পরিচালকঃতিনটে ডকুমেন্টারী শর্ট ফিল্মের প্রোডাকশনের কাজ চলছে। আর গল্প ফাঁদা হচ্ছে পরবর্তী কাজের জন্য।
    গালিবঃআপনার মত আরও যারা ফিল্মমেকিং এ আসতে চায় তাদের কি বলবেন ?

    পরিচালকঃ আমি একেবারেই নবাগত ! ফিল্মমেকিং-এ ভীষণ আগ্রহ থেকেই কাজগুলো করা। যাদের আকর্ষণ আছে তারা অবশ্যই কাজ করার চেষ্টা করবেন। আমার প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ডিজিটাল ক্যাম দিয়ে চিত্রায়ন করেছিলাম বলে আমারই এক বন্ধু ঠাট্টা করে বলেছিল সাবানের বক্সের মত ক্যামেরা নিয়া আমি কি সিনেমা করব ! কাজটা করার ইচ্ছাশক্তি থেকেই কাজটা কিভাবে করা হবে তার উত্তর বেরিয়ে আসে।
    গালিবঃধন্যবাদ আপনাকে ! আরও সুন্দর সুন্দর কাজ আপনি আমাদের উপহার দিবেন এই প্রত্যাশা !