‘ভ্যাটবিরোধী চলমান ছাত্র আন্দোলন ও বিভ্রান্তির জন্য অর্থমন্ত্রী দায়ী’  

    0
    219

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৪সেপ্টেম্বর: বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা এমপি প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের উপর ভ্যাটের আরোপের বিরুদ্ধে চলমান ছাত্র আন্দোলন এবং এ নিয়ে নানামুখী বিভ্রান্তির জন্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতকে সরাসরি দায়ী করেছেন। আজ এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, শিক্ষা মানুষের জন্মগত মৌলিক এবং বাংলাদেশের সংবিধানস্বীকৃত অধিকার। অথচ শিক্ষাকে পণ্যে পরিণত করে এর উপর ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। কার্যত এর মধ্য দিয়ে গোটা শিক্ষা ব্যবস্থার চলমান বাণিজ্যিকীকরণ প্রক্রিয়াকেই আরো উৎসাহিত করা হলো। যেহেতু শিক্ষা কোনো পণ্য নয়, মানুষের জন্মগত অধিকার, তাই এর উপর ভ্যাট আরোপ সম্পূর্ণ সংবিধানবিরোধী পদক্ষেপ। শিক্ষার উপর ভ্যাট আরোপের কোনো প্রশ্নই আসে না।

    তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রীর প্রলাপবাক্য দেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও বিভিন্ন সময়ে সংকট সৃষ্টি করেছে। ভ্যাট আরোপ নিয়েও তিনি একেক দিন একেক ধরনের কথা বলে চলমান সংকটকে আরো উস্কে দিয়েছেন। গোটা শিক্ষাব্যবস্থাকে যারা বাণিজ্যিকীকরণ করতে চায়, তারাই ছাত্রদের উপর ভ্যাট আরোপের চিন্তা করেন।

    ‘অর্থমন্ত্রীর মৌলিক চিন্তাতেই বিভ্রান্তি আছে’ উল্লেখ করে কমরেড বাদশা বলেন, চলমান এই সংকট আজই সমাধান হওয়া দরকার। এ বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

    রাকসু’র প্রাক্তন এই ভিপি আরো বলেন, দেশের সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থাকেই বাণিজ্যিকীকরণের সুগভীর চক্রান্ত চলছে। প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের খামখেয়ালী অনুযায়ী লাভজনক ব্যবসাক্ষেত্রে পরিণত করার লক্ষ্যে ইচ্ছামতো বেতন-ফি নির্ধারণের আইনী সুযোগ রাখা হয়েছে বলেই আজ এই অবস্থা। তিনি অবিলম্বে প্রাইভেট বিশ^বিদ্যালয় থেকে শুরু করে সকল প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভিন্ন বেতন-ফি নির্ধারণের নীতিমালা প্রণয়ন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক কঠোরভাবে তা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু করার দাবি জানান।

    বিবৃতিতে কমরেড বাদশা প্রশ্ন রেখে বলেন, প্রাইভেট বিশ^বিদ্যালয়গুলোর নিয়ন্ত্রণ আসলে কে করেÑ শিক্ষা মন্ত্রণালয় নাকি অর্থ মন্ত্রণালয়? চলমান ছাত্র আন্দোলন ও ভ্যাট সংক্রান্ত বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর প্রতিদিনকার প্রলাপ দেখা যাচ্ছে, কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এ বিষয়ে চুপ কেন? তিনি এর সমাধান টানার যৌক্তিক কর্তৃপক্ষ হলেও তার তরফ থেকে এ নিয়ে কোনো কথা শোনা যাচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর ভূমিকা স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন। বিদ্যমান জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী উচ্চশিক্ষায় ভ্যাট আরোপ করা যৌক্তিক কিনাÑ তার ব্যাখ্যা শিক্ষামন্ত্রীকেই দিতে হবে।