ভুমি খেকোর দখলে সিলেট জিলকারের ডিসকভারি মৎস্য প্রকল্প

    0
    216

    “হিরণ মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা শুধু হাজী আছন মিয়াকে দেখিয়ে দিবো আমার আর কোন প্রতিশোধ নাই। এটাই আমার প্রতিশোধ শুধু আছনকে খেয়ে ফেলা”

    আমারসিলেট24ডটকম,২৬এপ্রিল,শাহীন আহমদঃ সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাঁও ইউনিয়নের বলাউরায় জলমহাল দখল নিয়ে দুইপক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে এলাকায় টান-টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে য়ে কোন সময় ঐ জিলকার হাওরে ডিসকভারি মৎস্য প্রকল্প নিয়ে বড় ধরণের সংঘষের সম্ভাবনা রয়েছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় যে, ছাতকের মুর্শেদ আহমদ ও বলাউরার আবুল কাশেমে গং দির্ঘদিন যাবত ঐ ডিসকভারি মৎস্য প্রকল্প পরিচালনা করে আসছেন গত ১৪ এপ্রিল শাহ জামাল নুরুল হুদা ও নাসির উদ্দিন গং দখল করতে গিয়ে এলাকাবাসীর বাধার মুখে পরে পালিয়ে আসেন কিন্তু দখলে  ব্যর্থ  হলে আবাও  গতকাল  শুক্রবার দখলের খবর পেয়ে মুর্শেদ আহমদ ও আবুল কাশেমের এলাকাবাসীসহ বাধা প্রতিরোধ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন এরকম খবর পেয়ে জালালাবাদ থানার ওসি গৌছুল আলম নেতৃত্বে এক দল পুলিশ ঘটনাস্থে গিয়ে পরিস্থিকে নিয়ন্ত্রনে আনে এবং সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আশফাক আহমদ ঘটনার স্থানে গিয়ে উভয় পক্ষকে বিচার সালিশের মাধোমে বিষয়টি  মিমাংসার জন্য চেষ্টা করে ৭নং মোগলগাও ইউনিয়নের বর্তমান চেয়াম্যান সামসুল ইসলামের কাছে সমজিয়ে আসেন তখন সামসুল ইসলাম বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য তিনি তাহার ইউনিয়নে তিন  ইউপি সদস্য দেরকে দায়ত্বে দিয়ে আসে ইউপি সদস্যরা হলেন ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল মালিক,৮নং ওয়ার্ড মেম্বার আসদ্দর আলী কালা মিয়া,৩নং ওয়ার্ড মেম্বার ফজলু মিয়াসহ তাদের কাছে বর্তমানে জিলকার হাওরে ডিসকভারি মৎস্য প্রকল্পের দায়ত্বে রয়েছে। পরে উভয় পক্ষকে নিয়ে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও ৭নং মোগলগাও ইউনিয়নের চেয়াম্যানসহ এলাকার গণ মান্য ব্যাক্তিবর্গকে সাথে নিয়ে বিচার শালিশের মাধ্যোমে বিষয়টি  মিমাংসা করা হবে বলে জানিয়েছে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আশফাক আহমদ তবে জিলকার হাওরে ডিসকভারি মৎস্য প্রকল্পে পুলিশ মোতায়ান রয়েছে বলে জানা যায়। বিষয়টি শেষ না হওয়া পর্যন্ত ঘটনাস্থানে পুলিশ থাকবে এবং যাদের ভূমি সঠিক কাগজে মালিক হবে তাদের কে সমজিয়ে দেওয়া হবে।

    এব্যাপারে নাসির উদ্দন এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি মোবাইল ফোনটি ধরেনি  তবে আবুল কাশেমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন চেয়ারম্যান  এর  মাধ্যামে বিষয়টি বিচার সালিশে রয়েছে। তাই আমরা চাই বিচারে  যিনি সঠিক কাগজ পত্র দেখাতে পারবে তারাই হবে সঠিক মালিক । হিরণ মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা শুধু হাজী আছন মিয়াকে দেখিয়ে দিবো আমার আর কোন প্রতিশোধ নাই। এটাই আমার প্রতিশোধ শুধু আছনকে খেয়ে ফেলা। জালালাবাদ থানা ওসি সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলে আমি বর্তমানে ঘটনাস্থলে রয়েছি উভয় পক্ষকে গ্রামের দুইপাশে দেখা গেলে ও তাহারা কেউ ঘটনাস্থলে আসেনি তবে শুনেছি যে উভয় পক্ষকে বিচারের মাধ্যামে বিয়টি দেখে দিবেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ।এ ঘটনায় এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।