চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার দেউলী গ্রামের একটি গম ক্ষেত থেকে ভারত থেকে আসা বিশালাকৃতির একটি বেলুন উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ (রোববার) যন্ত্রসহ বেলুনটি উড়ে আসার পরপরই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। খবর পেয়ে দামুড়হুদা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে যন্ত্রটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
গম ক্ষেতের মালিক আবুল কালাম জানান, সন্ধ্যার কিছুটা আগে একটি বড় বেলুনের সাথে বাঁধা বাক্সটি উড়ে এসে পড়লে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। পরে খবর দেওয়া হয় দামুড়হুদা থানা পুলিশকে। খবর পেয়ে পুলিশ সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে ভারত থেকে উড়ে আসা যন্ত্রটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
পুলিশ জানিয়েছে, দেউলী গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে আবুল কালামের গম ক্ষেতের মধ্যে আছড়ে পড়া বেলুনটিতে আবহাওয়ার গতিবিধি পরিমাপের যন্ত্রপাতি রয়েছে। ওই বেলুনের সাথে ছিল প্লাস্টিকের আদলের একটি সোলারবক্স, একটি ব্যাটারি ও তিন মাথাওয়ালা ক্যামেরার সমন্বয় একটি সার্কিট। বাক্সটির প্যাকেটের ভারতীয় ছোট আকৃতির পতাকা দিয়ে ওপরের অংশ ঢাকা ছিল।
দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি সুকুমার বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘এগুলো আবহাওয়া ও বৃষ্টির সম্ভাবনা মাপার যন্ত্রপাতি। তিনি আরও জানান, ভারতীয় পতাকা সম্বলিত বাক্সের গায়ে বাংলায় লেখা আছে, ‘বেলুন ফোলা অবস্থায় ধূমপান করবেন না, বাক্সটিকে জলে ডোবাবেন না, লাঠির আঘাত করবেন না, আগুনে পোড়াবেন না, পুলিশ বা সংস্থার কর্তৃপক্ষ না আসা পর্যন্ত হাত দেবেন না, বাক্সটি ক্ষতি বা আঘাত করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ, বাক্সটি বিপজ্জনক নয়।’
পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম জানান, ভারত থেকে বেলুনের মাধ্যমে যন্ত্রটি বাংলাদেশের ভুখণ্ডে পড়ার পর বাক্সটির গায়ে থাকা নাম্বারে আমরা যোগাযোগ করে নিশ্চিত হয়েছি ওটি আবহাওয়া ও বৃষ্টি মাপার যন্ত্র। ভারতের কৃষ্ণনগরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর সন্দীপ চক্রবর্তী এটির আবিষ্কারক। মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি নিরুপণের যন্ত্র এটি। পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের সময় অতিরিক্ত বাতাস থাকার কারণে রাডার থেকে ছিটকে পড়ে বাংলাদেশের ভুখণ্ডে চলে আসে বলে জানিয়েছেন আবিষ্কারক প্রফেসর সন্দীপ চক্রবর্তী।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার জানান, বিষয়টি ইতিমধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করানো হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা পেলেই এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।পার্সটুডে
