আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,৩১মে: ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে ৫০০ পান্ডা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার হুমকি দিয়েছেন। ওঙ্কারেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ মহাকালেশ্বর শ্রী তীর্থ পান্ডা সংঘের ৫০০ পান্ডা এই হুমকি দিয়েছে। তারা মন্দির কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। উল্লেখ্য, মন্দিরের পূজার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পান্ডা বলা হয়।
পান্ডা সংঘের পক্ষ থেকে মন্দির প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলা হয়েছে, তাদের মন্দিরে প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে এবং পূজাঅর্চনা থেকে বিমুখ করা হচ্ছে। পান্ডা সংঘের পক্ষ থেকে নিলেশ জানিয়েছেন, ‘আমরা সব ধরণের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে দেখে নিতে চাই। সরকারের উদ্দেশ্যে আমরা এতটুকুই বলতে চাই যে, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পরেও যদি আমাদের দাবি না মানা হয় তাহলে আমাদের সবাইকে ইসলাম ধর্ম কবুল করতে বাধ্য হতে হবে।’
পান্ডাদের দাবি, মন্দির ট্রাস্ট এবং প্রশাসনের জন্য ক্রমাগত হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে ব্রাহ্মণদের। ছোট বা বড় উৎসবের সময় বেশ কিছুদিন ধরে আমাদের মহারাজ ওঙ্কারেশ্বরজীর ওপরে পানি, বেলপাতা ইত্যাদি উৎসর্গ করতে দেয়া হচ্ছে না। সেই সঙ্গে ব্রাহ্মণদের মন্দিরে প্রবেশ করতেও দেয়া হচ্ছে না।
পান্ডাদের পক্ষে নীলেশ জানান, ‘মন্দিরের বাইরে অভিষেক পূজার জন্য একটি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও অভিষেক পূজার স্থান থেকেও আমাদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে।’
অন্যদিকে, ওঙ্কারেশ্বর মন্দির ট্রাস্টের ট্রাস্টি বলছেন, প্রত্যেক উৎসবের আগে মন্দির ট্রাস্ট এবং প্রশাসনের মধ্যে বৈঠক হয়। উৎসবের সময় হাজার হাজার ভক্ত মন্দিরে দর্শনের জন্য আসেন। আলোচনায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, যখন উৎসবের সময় আসবে তখন অত্যাধিক ভক্তদের কথা মাথায় রেখে ফুল, বেলপাতা ইত্যাদি উৎসর্গ নিষেধ করা হবে এবং পণ্ডিতদের প্রবেশ বন্ধ করা হবে। এরফলে ভক্তদের দ্রুত দর্শন হয়ে যাবে এবং তাদের কোনো অসুবিধায়ও পড়তে হবে না।
ট্রাস্টির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মিটিংয়ে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যাতে দর্শনার্থীদের সংখ্যা বেশি হলেও তারা সুষ্ঠুভাবে দর্শন করতে পারেন এবং পরিবেশও ঠিক থাকে। এ সিদ্ধান্ত সব উৎসবের জন্য নেয়া হয়েছে।
মন্দিরের পান্ডারা অবশ্য এসব বিধি নিষেধ মানতে একেবারেই নারাজ। তারা সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, অবিলম্বে এসব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা না হলে তারা ইসলাম কবুলের পথই বেছে নিতে বাধ্য হবেন। তাদের সিদ্ধান্তের কথা এমপি, এমএলএ থেকে শুরু করে পুলিশ কর্মকর্তাদেরও জানিয়ে দিয়েছেন। এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।ইরনা