ভারতে ১৪ মুসলিম শ্রমিকের অস্বাভাবিক মৃত্যুঃব্যাপক চাঞ্চল্য

    2
    278

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৯এপ্রিলঃ ভারতের অসম থেকে মেঘালয়ে কাজ করতে গিয়ে ১৪ মুসলিম শ্রমিকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

    বুধবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ এই ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। অসমের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব শ্যামলাল মেওরা এ নিয়ে মেঘালয়ের মুখ্যসচিব পিবিও ওয়ারজির সঙ্গে কথা বলেছেন। অসমের সংখ্যালঘু ছাত্র সংগঠন ‘আমসু’সহ অন্যান্য সংগঠনের দাবি এটি সম্পূর্ণ পরিকল্পিত নৃশংসতা।

    অসমের সংশ্লিষ্ট স্থানীয় মানুষদের অভিযোগ, মেঘালয়ে কাজ করতে যাওয়া এখনো ৯ জন যুবকের কোনো খোঁজ নেই। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের খুঁজে বের করা দাবি জানিয়েছে ‘আমসু’। তারা ধুবড়ির জেলা প্রশাসকের কাছে এ ব্যাপারে স্মারকলিপি দিয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে।

    অসম রাজ্য জমিয়তে উলামা এই ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্ত এবং মৃতদের পরিবার পিছু ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানিয়েছে। জমিয়তে উলামার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এ ধরণের ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। অন্য রাজ্যে অসমের মানুষের জীবন ও সম্পত্তি নিরাপদ নয়। এ নিয়ে অসম সরকারের ভূমিকাও স্পষ্ট নয় বলে মন্তব্য করেছে তারা। অসম রাজ্য জমিয়তে উলামার সাধারণ সম্পাদক হাফিজ বাশির আহমেদ কাশেমি জানান, ‘এ ধরণের বর্বরতা সভ্য জগতকে কাঁপিয়ে তুলেছে।’

    বুধবারই মেঘালয় থেকে অসমের ওই ১৪ জন মুসলিম যুবক শ্রমিকের লাশ এসে পৌঁছায়। এদের প্রত্যেকের বয়স ১৮ থেকে ৪৪ বছরের মধ্যে। মেঘালয়ে ময়না তদন্তের পরে ফের অসমের ধুবড়িতে ময়না তদন্ত শেষে তাদের দাফন করা হয়।   হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হয়েছে, খাদ্যে বিষক্রিয়ার ফলে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে। যদিও বিস্তারিত তদন্ত শেষে প্রকৃত রিপোর্ট সামনে আসবে।

    অসমের ধুবড়ি জেলার গোলকগঞ্জ এলাকার ওই হতভাগ্য শ্রমিকরা মেঘালয়ের সাইপুংয়ে গিয়েছিল একটি সেতু তৈরির কাজ করার জন্য। রোববার রাতে তারা খাবার খাওয়ার পরে ঘুমিয়ে পড়ে সোমবার সকালে ওই ১৪ জনকে শ্রমিকদের অস্থায়ী শিবিরে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। গোলকগঞ্জের ওই মৃত শ্রমিকদের আত্মীয় স্বজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনার নেপথ্যে উগ্রপন্থীদের হাত আছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।ইরনা