ভারতে সংবিধান সংশোধনঃমুসলিম নিধনের চূড়ান্ত পদক্ষেপ

    0
    305

    কাশ্মির মুসলমানের উপর নির্যাতন-হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে ইসলামী ফ্রন্টের নেতারা বলেন- সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে মুসলিম নিধনের চূড়ান্ত পদক্ষেপ নিল ভারত সরকার। কাশ্মিরে নির্যাতন-হত্যা, লুটপাট নতুন নয় এটা ভারতীয় লুটেরাদের ধারাবাহিক কর্মের চূড়ান্ত পদক্ষেপ। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ঢাকা মহানগর কর্তৃক আয়োজিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল সাধারন সম্পাদক মুহাম্মদ আবদুল হাকিমের সঞ্চালনায় সভাপতি অধ্যক্ষ আল্লামা আবু জাফর মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মুখে অদ্য ৮ আগস্ট ২০১৯ বেলা ১২:০০ ঘটিকায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন-ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা ও ৩৫(ক) ধারা তুলে দেয়ায় কাশ্মীর অঞ্চলের মুসলমানদের নিরাপত্তা বিপন্ন ও নাগরিক অধিকার চিরস্থায়ীভাবে ভুলুণ্ঠিত হয়ে যাবে। বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ ভারত, সংবিধানে সংশোধন একান্তই তাদের আভ্যন্তরীণ বিষয়।

    কিন্তু যখন সংবিধান সংশোধনের সাথে মানবতা, গণতান্ত্রিক রীতিনীতি, ধর্মীয় জাতি ও একটি উপমহাদেশের নিরাপত্তা জড়িয়ে যায় তখন বিষয়টি কোন ভাবেই আর আভ্যন্তরীণ বিষয় থাকে না। ভারতীয় সংবিধান সংশোধনের কারণে বিশ্ব-মোড়লদের দক্ষিণ এশিয়ায় রাজনীতি করার ক্ষেত্র অবমুক্ত করবে যা অদূর ভবিষ্যতে গোটা উপমহাদেশকে অশান্ত ও অস্থিতিশীল করে তুলবে এতে কোন সন্দেহ নেই। শুধুমাত্র একটি অঞ্চলের একটি ধর্মীয় গোষ্ঠী কাশ্মীরী মুসলমানদের উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য সংবিধান পরিবর্তন করে ভারতীয় গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করল।

    ইসরাইলী সহযোগিতায় সংবিধানের এই পরিবর্তনের মাধ্যমে মুসলমানকে নিশ্চিহৃ করার মিশন শুরু করেছে ভারত এতে মদদ দিচ্ছে বিশ্ব জঙ্গি সংগঠন মোসাদ। কাশ্মিরে যে সব সৈনিক কাজ করছে তারা ই¯্রাইল কর্তৃক অস্ত্র প্রদত্ত এবং প্রশিক্ষিত। ইসলামের চিরশত্রু ইহুদীরা দ্বিগুন উৎসাহিত হয়ে মনস্তাত্বিক চেতনায় মুসলমানদেরকে হত্যা করতে দ্বিধাবোধ করে না যা অতীতের ইতিহাসে প্রমাণিত। প্রধান অতিথি বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সচিব আ ন ম মাসউদ হুসাইন আলকাদেরীসহ বক্তব্য রাখেন-আহমদুর রহমান, মুহাম্মদ ইমরান হুসাইন তুষার, মুহাম্মদ মাসউদ হোসাইন, কাজী মুহাম্মদ জসিম উদ্দীন নুরী, মুহাম্মদ কবির হোসেন, মুহাম্মদ আল-মিরাজ, হাফেজ মুহাম্মদ জাহিদুর রহমান, আবু ইউসুফ, মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, আমান উল্লাহ্ প্রমুখ।