আমারসিলেটটোয়েন্টিফোর,০৮ সেপ্টেম্বর : সম্প্রদায়ীক দাঙ্গায় ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলীয় মুজাফফরনগরে অন্তত সাংবাদিকসহ ১২ জন নিহত এবং আরো অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। গতকাল শনিবার দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে শুরু হওয়া এ দাঙ্গায় এ পর্যন্ত অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছে বলে ভারত ভিত্তিক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে। গত দুই দিনের এ সংঘর্ষের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ফলে আজ রবিবার সকালে রাজ্যের মুজাফফরনগরে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থা জারি করে সেখানে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
খবরে প্রকাশ, গত ২৭ অগাস্টে দুই সম্প্রদায়ের তিনজন যুবক নিহত হওয়ার পর থেকে কাওয়াল এলাকা জুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। ইন্ধন সৃষ্টিকারী বক্তব্য দেয়ার জন্য পুলিশ বহুজন সমাজবাদী দলের (বিএসপি) মুজাফফরনগর এলাকার এক সংসদ সদস্য ও দুইজন এমএলএ এবং ভারতীয় জনতা পার্টির মেরুত এলাকার এক এমএলএ’র নামে অভিযোগ দায়ের করেছে। সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইট ফেইসবুকে এক যুবকের হত্যাকাণ্ডের মিথ্যা ভিডিও পোষ্ট করে ধর্মীয় পরিবেশ নষ্ট করার দায়ে ২৯৯ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
শনিবার মুজাফফরনগরের নাগলাবাধোদ অনুষ্ঠিত এক পঞ্চয়েত সভা থেকে এক সম্প্রদায়ের লোকজন ফিরে আসছিল। ফেরার পথে তিন কিলোমিটার দূরে কাওয়াল এলাকায় তারা আরেক সম্প্রদায়ের লোকজনের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। কাওয়ালের মেনকাশি চৌরাহা এলাকায় দুপক্ষের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে রাজিব ভার্মা নামের এক ফ্রিল্যান্স টেলিভিশন সাংবাদিক নিহত হন।এছাড়া সেকেদা গ্রামে পুলিশের ভাড়া করা এক ফটোগ্রাফারকে পিটিয়ে মারা হয়েছে।
এ ঘটনায় উত্তর প্রদেশের মূখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব সবাইকে শান্ত থাকার অহ্বান জানিয়ে গুজবে কান না দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। নিহত টেলিভিশন সাংবাদিকের পরিবারের জন্য ১৫ লাখ রুপি সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে রাজ্য সরকার। নিহত অন্যান্যদের পরিবার প্রতি ১০ লাখ রুপি করে দেয়ার ঘোষণা হয়েছে। গুরুতর আহতদের ৫০ হাজার রুপি ও কম আহতদের ২০ হাজার রুপি সহায়তা দেয়া হবে।
অপরদিকে উত্তর প্রদেশ রাজ্য সরকার সংঘর্ষ কবলিত এলাকায় সপ্তাহব্যাপী সান্ধ্য আইন জারি করেছে। সেখানে আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েনের পর রবিবার সকালে আরো এক হাজার সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।