ভারতের চাকমা ব্যারেজ’এর প্রভাবে মরে গেছে দেশের কয়েকটি নদী

    1
    220

    আমারসিলেট24ডটকম,এপ্রিল,এস,এম,সুলতান খানঃ খর স্রোতা খোয়াই নদী মৃত্যুর দ্বার প্রান্তে। এর সাথে মরে যাচ্ছে করাঙ্গী, ইছালিয়া, সুতাং, ভুই ও সোনাই নদীও। ভারতের উজানে বাঁধ দিয়ে সেচ প্রকল্প করায় পানি শুন্যতায় পড়েছে ওই ৬টি নদী। খোয়াই নদীতে সামান্য কিছু পানি থাকলেও বাকী ৫টি নদী প্রতি বছর একে বারেই শুকনা থাকে। স্রোতস্বীনি খোয়াইকে এক সময় চুনারুঘাটের দুঃখ বলা হতো। বান ডাকলে ভয়ংকর হয়ে উঠতো এ নদী। তখন ভাসিয়ে নিত ফসলের জমি, ঘর-বাড়ি, গাছ পালা। কালের আবর্তে এ নদীটি তার ঐতিহ্য হারিয়েছে। ভরা মৌসুমেও স্রোতহীন থাকে খোয়াই। সব কটি নদী ভারতের উজান থেকে প্রবাহিত হয়ে হবিগঞ্জে প্রবেশ করেছে। বর্ষা মৌসুমে পানির গর্জনে এক সময় নদী পাড়ের মানুষের ঘুম ভাঙ্গলেও আজ এসব নদীর চঞ্চলতা নেই। নাব্যতা হারিয়ে নদীগুলো আজ মৃত প্রায়। বিগত ১৫বছর পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য সরকার উপজাতি ও ত্রিপুরা জনগনকে কৃষি কাজে আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে খোয়াই শহরের দক্ষিণে ‘চাকমা ব্যারেজ’ নামের একটি স্লুইচ গেট নির্মাণ করে।

    এ গেটের উজানে ড্রেন করে পাহাড়ী ও টিলা ভূমি এলাকায় পানি সরবরাহ করে। এতে নদীতে পানি প্রবাহ হ্রাস পাচ্ছে আশংকা জনক হারে। এদিকে খোয়াই শহরের বিশুদ্ধ পানির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ‘খোয়াই জল শোধনাগার প্রকল্প-১’ নামের আরেকটি প্রকল্প চালু হয় ১০ বছর আগে। এ ধরনের আর একটি প্রকল্প চালুর অপেক্ষায় রয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় প্রতিদিন খোয়াই নদী থেকে ২০ লাখ গ্যালন পানি উত্তোলন করা হয়। আবার পুরো খোয়াই শহরের ময়লা পানি এসে নদীতে পড়ে নদীর নির্মল পানিকে দূষিত করেছে। ইছালিয়া নদীর উজানেও স্লুইচ গেট নির্মাণ করে পানি ধরে রেখেছে ত্রিপুরা সরকার। এসব কারণে পানি শুকিয়ে যাচ্ছে নদ-নদী থেকে। নদী পাড়ে বসবাসকারীরা বলেন, ডহর (গভীর পানি) নামের কোন কিছু এখন আর নেই নদীতে। এ কারণে সুস্বাদু মাছও নেই। আছে শুধু বালুর চরের পাহাড়। ভরা বর্ষায়ও নদীতে বান ডাকেনা। ফলশ্র“তিতে পলি মাটির অভাবে ফসল উৎপাদন আশংকাজনক হারে হ্রাস পেয়েছে নদী অববাহিকায়।