আমারসিলেট24ডটকম,৩০মার্চঃ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার কুরমা সীমান্ত এলাকার ভারতীয় এলাকায় ক্ষেতে গরু যাওয়া নিয়ে বাংলাদেশী ও ভারতীয় গ্রামবাসীর মাঝে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে ভারতীয় লোকজন চারটি গরু সহ এক বাংলাদেশীকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গরু সহ ভারতীয়দের ফেরৎ আনতে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে জরুরী পতাকা বৈঠকের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নের কুরমা সীমান্তের ফেচনকোনা এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ সুলেমান মিয়া জানান, টিলাগাঁও গ্রামের সিদ্দেক মিয়ার ছেলে রাজা মিয়া (১৫) সহ তিন বাংলাদেশী রোববার সকালে সীমান্ত এলাকায় গরু চরাচ্ছিল। এক পর্যায়ে বাংলাদেশী গরু ভারতীদের ধান ক্ষেতে প্রবেশ করাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশী ও ভারতীয় লোকজনের মাঝে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্র্ষের সময় দুইজন বাংলাদেশী পালিয়ে আসলেও রাজা মিয়া (১৫)কে ধরে ভারতীয় লোকজন আটকিয়ে নির্যাতন করে। বিষয়টি তাৎক্ষনিক ভাবে বিজিবি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়।
গরু সহ এক বাংলাদেশীকে ধরে নেওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে শ্রীমঙ্গলস্থ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ১৪ নং ব্যাটেলিয়ন কমান্ডার ল্যাঃ কর্ণেল চৌধুরী সাইফউদ্দীন কাওছার বলেন, দুপুরে তাৎক্ষনিকভাবে কুরমা বিজিবি কোম্পানী কমান্ডার ও বিএসএফের কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ে জরুরী পতাকা বৈঠক করে গরু সহ বাংলাদেশীকে ফেরৎ দিতে দাবী জানিয়ে অলিখিত পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকে বিএসএফ দাবী করেছে বাংলাদেশী লোকজন হামলা করে এক ভারতীয়কে আহত করায় তারা গরু সহ এক বাংলাদেশীকে আটকিয়ে রেখেছে। বিজিবির পক্ষে ভারতীয় লোকজনের অভিযোগের সত্যতা প্রমাণের কথা জানিয়ে বিকাল ৪টায় পতাকা বৈঠকের সময় নির্ধারণ করা হয়।
