বড়লেখা বনশ্রী আশ্রয়ন প্রকল্পে ভুমিহীনদের মানবেতর জীবন

    0
    270

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৪মে,আলী হোসেন রাজন: বড়লেখার সায়পুর বনশ্রী আশ্রয়ন প্রকল্পের ভুমিহীন ৪০ পরিবারের লোকজন মানবেতর জীবন যাপন করছেন। প্রায় ১৫ বছর আগে সেনাবাহিনী বসতঘরগুলো নির্মাণ করে দেয়। এরপর কোন সংস্কার না করায় ঘরের টিন ও বেড়ায় ছিদ্র ও জম ধরে আগেই শতভাগ নষ্ট হয়ে যায়। বসবাসের অনুপযোগী এসব ঘরে ঝুঁিক নিয়ে বসবাস করছে হত দরিদ্র লোকগুলো।

    জানা গেছে, ১৯৯৭ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিশেষ বরাদ্ধে উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের সায়পুরে দুস্থ ও ভুমিহীন ৪০ পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে বনশ্রী আশ্রয়ন প্রকল্প নামে একটি প্রকল্প গ্রহন করা হয়। ২০০০ সালের ৩ এপ্রিল সেনা বাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশন ময়মনসিংহ পরিবার প্রতি ৭ শতাংশের ওপর টিনসেট বসতঘর নির্মানের কাজ শুরু করে পাঁচ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করে ভুমিহীন পরিবারকে বুঝিয়ে দেয়।

    সরেজমিনে গেলে সায়পুর বনশ্রী আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা আয়শা বেগম, মুক্তিযোদ্ধা মানিকজান বিবি, মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল আলী, মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান, আব্দুল হাই ফরাজি, ছালেমা বেগম, আলী হোসেন, আব্দুস সহিদ, রানু বেগম, সিরাজ উদ্দিন, আনোয়ার আলী, পিয়ারা বেগম প্রমুখ জানান, ৩/৪ বছর আগেই এসব বসতঘর বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। অনেকেই অন্যত্র খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। ১৫ বছর আগে বসতঘর নির্মাণের পর আর কোন সংস্কার হয়নি। ইতিমধ্যে আব্দুস সুবহান, নেহার বেগম ও সফাত আলীর ঘর ঝড়ে পড়ে গেছে।

    সে সময়ে নির্মিত কমিউনিটি সেন্টার, নলকুপ, টয়লেট, দিঘি ও চলাচলের রাস্তা সম্পুর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। ভুমিহীন পরিবারের ছেলে মেয়েরা লেখাপড়া থেকে বি ত হচ্ছে। ভুমিহীন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস শহীদ জানান, আমাদের পুনর্বাসনের ১৫ বছর অতিবাহিত হলেও আজও তারা ভুমির দলিল পাননি। ভুমি অফিসে অনেক ধর্ণা দিয়ে লাভ হয়নি। স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার আবুল হোসেন আলম জানান, সায়পুর আশ্রয়ন প্রকল্পের ৪০ পরিবারের ৩৫০ সদস্য বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত।